শিরোনাম
◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর ঘটনায় যে বিবৃতি দিলেন অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ধানমন্ডি-৩২-এ ভূরিভোজের জন্য আনা হলো গরু ◈ ভারত থেকে শেখ হাসিনার অবিরাম বিবৃতির কারণেই ভাঙচুর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ◈ ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব বাংলাদেশের ◈ শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে এখনও জ্বলছে আগুন, চলছে লুটপাট ◈ ‘হাসিনা ভুল প্রজন্মের সঙ্গে পাঙ্গা নিয়েছে’ ◈ ছিনতাই ঠেকাতে 'স্মল আর্মস পাচ্ছেন' ট্রাফিক সার্জেন্টরা ◈ ক্ষমতার কারিগরেরা উধাও: কে কোথায় আছেন হাসিনার ঘনিষ্ঠরা? ◈ সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাড়িতেও  আগুন দিল বিক্ষুব্ধ জনতা (ভিডিও) ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে জিনিসপত্র সরাচ্ছে উৎসুক জনতা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:০১ রাত
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু শুক্রবার

অনুজ দেব বাপু, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীতে নির্মিত প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে টোল আদায় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। এদিন সকাল ১০টায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

 শুক্রবার টোল আদায়ের সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম জানান, এতদিন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে কোন টোল দিতে হয়নি। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে টোল দিয়ে এ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে হবে। শুরুতে শুধুমাত্র এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে চারটি টোলের বুথ থাকবে। ধীরে ধীরে নগরীর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে ১০টি টোলবুথ বসানো হবে।

সিডিএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মোট ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এরমধ্যে সিএনজিচালিত ট্যাক্সি ৩০, প্রাইভেট কার ৮০, জিপ গাড়ি ও মাইক্রোবাস ১০০, পিকআপ ১৫০, মিনিবাস ২০০, বাস ২৮০, চার চাকার ট্রাক ২০০, ছয় চাকার ট্রাক ৩০০ এবং কাভার্ডভ্যান চলাচলে ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে। তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নির্মিত নগরীর পতেঙ্গা থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৫৪ ফুট প্রশস্ত চার লেনের এ উড়াল সড়কটি চট্টগ্রামে নির্মিত প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ২০১৭ সালের ১১ জুলাই। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। পরবর্তীতে প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। পরে দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু বর্ধিত সময়েও পুরোপুরি কাজ শেষ করা যায়নি। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যাতে উঠতে পারে সেজন্য প্রথমে ১৪টি স্থানে র‌্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত থাকলেও স¤প্রতি সিডিএ বোর্ড ৫টি র‌্যাম্প বাদ দিয়ে ৯টি পয়েন্টে র‌্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।  এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে জিইসি মোড় থেকে ওঠে পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে নামার সুযোগ রয়েছে। আবার পতেঙ্গা থেকে ওঠে নগরের টাইগারপাস, লালখান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নামার জন্য র‌্যাম্প রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, নিমতলা, কেইপিজেড, ফকিরহাট, সিইপিজেডে ওঠানামার নয়টি র‌্যাম্প থাকবে।

এদিকে গত বছরের নভেম্বরে এর উদ্বোধন হলেও যান চলাচলের জন্য তখন পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২৮ আগস্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর সিডিএ’র নবগঠিত বোর্ডের প্রথম সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নতুন টোল হার নির্ধারণ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর পর মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

মামলার হুমকি দিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করছে অসাধু চক্র, সতর্ক থাকুন : সিএমপি কমিশনার অনুজ দেব বাপু, চট্টগ্রাম : গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দায়ের হওয়া বিভিন্ন  মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেওয়া এবং মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়ে অসাধু চক্র অন্যায়ভাবে অনৈতিক সুবিধা আদায় করছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অসাধু চক্রের বিষয়ে নগরবাসীকে সতর্ক করেন তিনি।

সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, স¤প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতায় থাকা বিভিন্ন থানায় সা¤প্রতিক সময়ে দায়ের হওয়া মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাস ও নাম যুক্ত করার হুমকি দিয়ে কতিপয় অসাধু চক্র অন্যায়ভাবে অনৈতিক সুবিধা আদায় করছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সিএমপির বিভিন্ন থানায় সা¤প্রতিক সময়ে দায়ের হওয়া প্রত্যেকটি মামলার তদন্ত পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্বারা কয়েকটি স্তরে তদারকি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ওইসব মামলা থেকে অন্যায় ও অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের প্রতারক চক্রের অপতৎপরতা থেকে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রতারক চক্রের কোনো সদস্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা মাত্র বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অথবা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে অবগত করার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়