সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিএনপির একটি অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রোববার সকালে উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের চারাবাড়ি ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। আহত পাঁচজনকে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন চারাবাড়ি এলাকার রমজান আলীর ছেলে ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক রূপচাঁদ আলী, চারাবাড়ি ওয়ার্ড কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু রায়হান, মো. নয়ন, মো. শফি ও বাবলু হোসেন। আহতদের মধ্যে বাবলু হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী আবু রায়হান জানান, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডে কৃষক দলের কমিটির গঠন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চারাবাড়ি ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও কৃষক দলের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ইউপি সদস্য মুনছুরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গত শনিবার ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক রূপচাঁদকে দলের কার্যক্রম ধীরে চালানের কথা বলে হুমকি দেয়। এমনকি ওই রাতেই তাঁকে মারধর করে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে শনিবার রাতেই কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর জের ধরে রোববার সকাল ৮টায় মুনছুরের নেতৃত্বে আজারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন তারিক, জুলফিকার আলী, আলফা, জনাব আলী বিশ্বাসসহ ১৫-২০ জনের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে তাদের দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর এবং রূপচাঁদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে আহত করেন। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সহসভাপতি মুনছুর বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তবে শুনেছেন, সম্প্রতি জাহাঙ্গীর হোসেন তারিকের ছেলে জাকির হোসেন কয়েক দিন আগে ভারতে পাচারের চেষ্টাকালে রুপার গহনাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। বর্তমানে জাকির জেলহাজতে আছেন। জাহাঙ্গীরের সন্দেহ, বিএনপি কর্মী নয়ন ও তাঁর বন্ধুরা ওই গহনাসহ জাকিরকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। এরই জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে এ গোলযোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে তাঁর ধারণা।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার ওসি সামসুল আরেফীন বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উৎস: সমকাল।
আপনার মতামত লিখুন :