মো: মুজাহিদ খাঁন, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ): ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের চালতিপাড়া, নিমতলা, হাঁসাড়া ও ষোলঘরে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে। রবিবার সকাল ৭টার দিকে প্রায় ১ ঘন্টার ব্যবধানে মাওয়ামুখী লেনে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য মোট ১১টি গাড়ি একটি অপরটির সাথে ধাক্কা লাগে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. ফরহাদ (৪০)। সে ফরিদপুরের চরদোয়ার গ্রামের নুরু মুন্সীর ছেলে। আহতরা হলেন ভোলার রশিদ (৫৫), চরফ্যাশনের ইকরাম (৩৫), ভাঙ্গার তালেব (৪০), পটুয়াখালীর নুরু (৫০), বরগুনার আলতাফ (৪১), ঝালকাঠির একলাছ (৫৫), মেহেন্দিগঞ্জের শংকর (৪৫), বানারীপাড়ার লিখিল (৪০), বাবুগঞ্জের সবেত (৫০), উজিরপুরের শিতুল (৩৫), পিরোজপুরের মুহিত (৩৭) ও নোয়াখালীর জাকির (৩২)।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ক্যামেলিয়া সরকার জানান, ফরহাদকে হাসপাতালে আনার আগেই সে মারা গেছে। জাকিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে হাইওয়ের মাওয়ামুখী লেনের চালতিপাড়া ১০০ গজের মধ্যে ২টি, নিমতলা ১টি, হাঁসাড়া এলাকায় ১টি দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী বাসের সাথে প্রাইভেটকার, কাভার্ড ভ্যানের সাথে বাসের সংঘর্ষ হয়। অপরদিকে ষোলঘরে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দ্বীপের ওপরে উঠে থাকতে দেখা যায়।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ষোলঘরের কেয়টখালীতে মাওয়ামুখী ১টি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের সার্ভিস লেনে রেলিংয়ের ওপর উঠে যায়। শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন বলেন, সকালে ঘন কুয়াসার কারণে মাওয়ামুখী সড়কের ৫ স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাকসহ প্রায় ১২টি গাড়ি একটি অপরটির সাথে ধাক্কা লাগে। দুপুরে কেয়টখালীতে বাস দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের উদ্ধার কর্মী পাঠানো হয়েছে। হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর কাদের
জিলানী জানান, লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন গাড়ি চালকসহ ৫/৬ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রেকার দিয়ে গাড়িগুলো 0সরানো হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এসব ঘটনায় আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :