ফরিদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে বালির খোলায় হামলা : আহত ৫
হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর শহরের সিএন্ডবি ঘাটে বালি ব্যবসায়ীর মজুদ বালির খোলায় যেয়ে ভাংচুর ও মারপিট চালিয়ে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মিলন শেখ (৪২) নামে একজনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সবুজ শেখকে প্রধান করে কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও সবুজ এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন।
কোতোয়ালি থানায় গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় দাখিলকৃত ওই অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সবুজ শেখ, রাহুল শেখ, নাজমুল, নাফিজুল, এনামুল, সিয়াম, তুষার সহ আরো কয়েকজন মিলে এ হামলা করে। তারা মারপিট করে সিমেন্ট বিক্রির দুই লাখ টাকাও নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লিয়াকত হোসেন (৩৮) নামে একজন বালি ব্যবসায়ী বলেন, সবুজের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৮ জনের মতো যুবক চাইনিজ কুড়াল ও লাঠিসোঁঠা নিয়ে তার বালির খোলায় হামলা চালায়। তারা অফিস ঘরে ভাংচুর ও ড্রেজার মেশিনের পাইপ ভেঙ্গে ফেলে। এসময় তারা সেখানে কবির শেখ (৩৮), মিন্টু শেখ (৫৫), আলী শেখ (৪১), মিজান (৩৭) নামে চারজন স্টাফকে আহত করে। হামলাকারীদের দেখে আরেক স্টাফ মিলন শেখ (৪২) ভয়ে পাশের ট্রলারে লুকালে সেখান থেকে বের করে এনে তাকে বেদম পিটিয়ে আহত করা হয়।
তিনি জানান, মিলন শেখের ছেলে নাইম এই সবুজদের বন্ধু। সে একটু খর্বাকৃতির। তার সাথে বন্ধুদের ঘোরাফেরার সম্পর্ক নিয়ে বিবাদ বাধে শুরুতে। গত ১৫ ডিসেম্বর ওয়াজ শুনতে বের হলে নাইমকে একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে চাকুর ভয় দেখিয়ে মারপিট করে তার বন্ধুরা। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি জিডিও করা হয়েছিল। তবে নাইমকে মারধরের কারণে গত বুধবার নাইম ও তার চাচা আনোয়ার শেখ মিলে মাসুদ নামে একজনকে চরথাপ্পড় মারে। এরপর বৃহস্পতিবার তারা সদলবলে এ হামলা চালায়।
লিয়াকত বলেন, বন্ধুবান্ধবদের মারামারির ঘটনার সূত্র ধরে কি কারণে তার বালির খোলায় এভাবে হামলা করে ভাংচুর ও স্টাফদের আহত করা হলো তা বুঝতে পারছেন না তিনি।
জানতে চাইলে ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সবুজ শেখ বলেন, আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না। সিসি ফুটেজ চেক করে দেখেন। যদি আমাকে পান, আমি সব অভিযোগ মাথা পেতে নেব। কিন্তু শুনলাম তারা এই ঘটনায় আমার নামও জড়াইছে। তাই ঘটনা জানার পরেও আমি সেখানে যাইনি। তবে শুনছি যে, পোলাপানরা নাকি ওইখানে কি একটা ঝামেলা করছে। তবে এ ঘটনায় তার নাম জড়ানোয় তিনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর মো: আশরাফুল ইসলাম এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি হাসপাতালে যেয়ে আহত ব্যক্তির বক্তব্য জেনেছেন। এব্যাপারে থানায় মামলা হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :