মোঃ আসাদুল্লাহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মল্লিকপুরে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে দু' কিশোর নিহতের ঘটনায় খুনিদের বিচার দাবিতে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর সড়কের মল্লিকপুর বাজারে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এর আগে নিহতদের স্বজন ও খোলসীবাসীর ব্যানারে নাচোল খোলসী বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মল্লিকপুর বাজারে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি এক পর্যায়ে বিক্ষোভে রূপ নেয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নিহত মাসুদ রানার পিতা এজাবুল হক, নিহত রায়হানের পিতা আব্দুর রহিম, রায়হানের ভাই জাহাঙ্গীর, আলী আকবর, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আফজাল হোসেন।
সমাবেশে বক্তারা মর্মান্তিক এই জোড়া হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দাবি করেন। এদিকে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এলাকার বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ অংশ নেন। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মল্লিকপুর বাজারের পেট্রোল পাম্পের সমানে সড়কের উপর কাঠ ও বাশ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। ফলে সড়কের দু' ধারে অনেক যান আটকা পড়ে।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে জোড়াখুনের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাসের দিলে বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়ে ফিরে যান।
এদিকে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, নাচোলের মল্লিকপুর গ্রামের পেয়ারা বাগানের শ্রমিক সালাম ও শাহীনের দ্বন্দ্বের জেরে জোড়াখুনের ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে নিহত মাসুদ রানার বাবা এজাবুল হক বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওসি আরও জানান, দুই কিশোর হত্যা মামলায় ওই দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে নাচোলের মল্লিকপুর গরু হাটে স্থানীয় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংঘ আয়োজিত বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থলে দু' গ্রুপের দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে মাসুদ রানা ও মোহাম্মদ রায়হান নামের দু' কিশোর নিহত হয়। এঘটনায় আহত হয় আরো চার জন।
আপনার মতামত লিখুন :