শিরোনাম
◈ ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অতিরঞ্জিত: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ◈ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করছে, নাম হতে পারে ‘জনশক্তি’ (ভিডিও) ◈ মেয়ে দেশে ফিরলে হাসান আরিফের দাফনের সিদ্ধান্ত ◈ হাসান আরিফের নামাজে জানাজায় শরিক হলেন  প্রধান উপদেষ্টা ◈ গাড়িচাপায় বুয়েটশিক্ষার্থীর মৃত্যু: চালকসহ দুজনের শরীরে মিলেছে অ্যালকোহল ◈ চলন্ত বাসে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে আহত ৫ ◈ বাবা তুমি শান্তিতে ঘুমাও, আবার আমাদের দেখা হবে: নিহত বুয়েট শিক্ষার্থীর মা ◈ ‘বাজারে সিন্ডিকেট এখনো আছে, হাত বদলের মাধ্যমে দাম বাড়ছে’ ◈ মিয়ানমারে জান্তার গুপ্তচর কাজ করছে বিদ্রোহীদের পক্ষে! ◈ সমুদ্রে ভাসছিল ১০২ রোহিঙ্গা, উদ্ধার করল শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী

প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:৩২ বিকাল
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে শীতের সবজিতে স্বস্তি, চাল উর্ধ্বমুখী

অনুজ দেব বাপু, চট্টগ্রাম : সরবরাহ বেশি থাকায় চট্টগ্রামে প্রতিদিনই কমে আসছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির দাম। গ্রীষ্মকালীন কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজি ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসতে শুরু করেছে। গত দুই সপ্তাহে কয়েকটি সবজির দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমে এসেছে। বিশেষ করে শীতকালীন সবজিগুলো ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। শীতের এই মৌসুমে সবজির দাম আরও কমে আসলে সব শ্রেণীর ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির হবে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

এদিকে বাজারে সবজির দামে স্বস্তি আসলেও উর্ধ্বমুখী চালের দর। গত সপ্তাহখানেক আগে থেকেই চালের দর অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। এদিকে আলুর দামও আশানুরূপ না কমায় অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে শীতকালীন সবজিসহ সব ধরনের সবজির ভরপুর সরবরাহ দেখা গেছে। ৫০ টাকার ভেতরে বেশিরভাগ সবজি কিনতে পেরে ক্রেতাদের মধ্যেও স্বস্তির ভাব লক্ষ্য করা গেছে। কমে এসেছে কাঁচা মরিচ ও ধনে পাতার দাম। ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০-৩০ টাকা কমে ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিমের দামও কমে ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৩০-৫০, বাঁধাকপি, লাউ, মুলা, পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০, গাজর ৩০-৬০, পটল ও বেগুন ৪০-৬০, দেশি টমেটো ১৫০ টাকা থেকে কমে মানভেদে ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি, শসা ও ঢেঁড়শ ৭০-৮০, কচুর লতি ৫০-৭০, শালগম ৪০-৬০, লেবু প্রতি ডজন ৬০-৮০ এবং প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে পুরাতন ও নতুন আলু। বিভিন্ন বাজারে পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। নতুন আলুর দামও কমে এসেছে, বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। লাল শাক, মুলা শাক, পুঁই শাক, মিষ্টি কুমড়া শাক ও পালং শাক ১৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বাজার ও মানভেদে ৭৫-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারভেদে বিভিন্ন দেশের রসুন ২৪০-২৬০ ও আদা ১২০-২৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

গত দু’সপ্তাহে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকটের পর সরকার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম পুননির্ধারণ করে দিলে গত সপ্তাহে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। তবে এ সপ্তাহে বাজারে আবারও বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডেড কোম্পানী বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিক্রেতারা।

এদিকে গত সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় চালের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বাজারে খুচরায় ২-৬ টাকা বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম। গত সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি জিরাশাইল চাল ৭০-৭৩ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৭২-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের সিদ্ধ গত সপ্তাহে ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চাল ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বেড়ে হয়েছে ৬৩-৬৬ টাকা। এছাড়া ৫৬-৫৮ টাকার পাইজাম চাল ৬২-৬৪ টাকা এবং সরু নাজিরশাইল চাল ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুরের ডাল ১১০-১৩০, মুগ ডাল ১৪০-১৫৫, খেসারি ডাল ১১০, চনার ডাল ১৪৫, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি প্যাকেট আটা ৬২-৬৩ এবং ময়দা ৭৫-৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি পাঁচ টাকা কমে ১২৫ ও খোলা চিনি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম ২২০-২৫০ এবং হাঁসের ডিম ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০-২০ টাকার মত বেড়েছে বিভিন্ন মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি ১০ টাকা বেড়ে ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি ৩০০, পাকিস্তানি কক মুরগি ৩২০-৩৪০, দেশি মুরগি ৫২০-৫৫০, গরুর মাংস ৭৫০-৯০০ এবং খাসির মাংস ১,১০০-১,১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজারে দেশি মাছের মধ্যে তেলাপিয়া ১৮০-২২০, রুই ২৫০-৩৮০, কাতলা ২৫০-৪০০, মৃগেল ২০০-২৫০, পাঙ্গাস ২০০-২২০, মাগুর ও শিং ৪৫০-৬৫০ এবং দেশি কই ৪৫০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লইট্যা বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায়। এছাড়া চিংড়ি ৭০০-১২০০, মলা ৩৫০-৪৫০, বাইল্যা ৪০০-৫৫০, রিকশা ৪৫০-৬০০, পাবদা ৩৫০-৪৫০, কোরাল ৭০০-১০০০, টেংরা ৬০০- ৭০০ এবং বোয়াল ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়