শিরোনাম
◈ কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ ◈ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সীমান্ত কেন হত্যার শিকার হলেন, যা বলছে পরিবার ও পুলিশ ◈ পূর্বাচলে বুয়েটছাত্র নিহত: সুষ্ঠু বিচারসহ ৬ দাবি শিক্ষার্থীদের ◈ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলিতে নীতিমালা জারি ◈ উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন ◈ কলকাতার আদালতে জামিন পেলেন পি কে হালদার ◈ পিলখানা হত্যাকাণ্ডে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ইস্যুতে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র ◈ কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ডাকাতি: এক মাস আগেই হয় পরিকল্পনা : ওসি মাজহার ◈ বিশ্বব্যাংক থেকে তিন প্রকল্পে ১১৬ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০৭ দুপুর
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জলাবদ্ধতায় মরে যাচ্ছে রিসার্চ গার্ডেনের গাছগুলো

ডেস্ক রিপোর্ট : যশোরের মনিরামপুরে দেশের একমাত্র খেজুরগাছ রিসার্চ গার্ডেন জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি বছরে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি জমে প্রায় সব খেজুরগাছই মরে গেছে। এই অবস্থায় সেখানে গবেষণাকাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষক।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চার বছর আগে উপজেলার নাগরঘোপ গ্রামে জেলা প্রশাসনের দেওয়া জমিতে রিসার্চ গার্ডেনটি গড়ে তুলেছিলেন খেজুরগাছ গবেষক সৈয়দ নকিব মাহমুদ। রোপণ করা হয়েছিল খেজুরের ১২০টি চারা। এগুলো বড় হলে তা থেকে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯ থেকে ১৪ লিটার পর্যন্ত রস পাওয়া যেত। সৈয়দ নকিব মাহমুদ গাছগুলোর নামকরণ করেছিলেন রসবতী-১, রসবতী-২ এভাবে। গার্ডেনটিতে মোট ৮ ধরনের খেজুরগাছ ছিল। কিন্তু এবার যশোরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ওই বাগানে পানি জমে ১১১টি গাছ মরে গেছে; আর ৯টি বেঁচে আছে।

সৈয়দ নকিব মাহমুদ বলেন, পানিতে খেজুরগাছের চারা ৪০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে; কিন্তু ১০০ দিন নয়। এখনো সেখানে প্রায় দুই বিঘত পানি রয়েছে। তিনি আরও জানান, খুঁজে পাওয়া ৮টি ভিন্ন জিনোম সিকোয়েন্সের গাছ ব্যাকআপ গার্ডেনে আছে। কিন্তু একেকটা একেক জায়গায়; যে কারণে ভবিষ্যতে গবেষণাকাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। নতুন করে এই বাগান সম্পূর্ণ করা আরও সময়সাপেক্ষ। কারণ, খুঁজে পাওয়া গাছের মধ্যে মাত্র ৪টি মাতৃগাছ জীবিত আছে। বাকি ৪টি মারা গেছে। যদিও তাঁর কাছে ৮ ধরনের গাছই আছে, কিন্তু সেগুলো বয়সে অনেক ছোট। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ এগিয়ে নেওয়া কঠিন। ওই জমিতে মাটি দিয়ে উঁচু করলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।


এ ব্যাপারে মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় খেজুরগাছ রিসার্চ গার্ডেনটি জলাবদ্ধতার কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছগুলো রোপণের সময়ই জমি উঁচু করা দরকার ছিল। তারপরও কয়েকবার তাঁরা মাটি ভরাট করে গাছগুলো রক্ষার চেষ্টা করেছেন। যে গাছগুলো বেঁচে আছে, সেগুলো রক্ষা এবং নতুন গাছ রোপণের জন্য যে ধরনের সহযোগিতা দরকার, সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সুত্র : আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়