ফয়সাল চৌধুরী, কুষ্টিয়া: বিয়ের দাবিতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন দুই সন্তানের জননী আশা ইসলাম (২৪) নামে এক নারী।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহের প্রেমিক মেহেদী হাসান রিংকুর বাড়িতে এ অনশন শুরু করেছেন তিনি। রিংকু একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। এ ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত রিংকু।
ভুক্তভোগী নারী কুমারখালী উপজেলার এলঙ্গী পাড়ার আমিরুল ইসলামের মেয়ে। স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় তিনি কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ায় থাকেন। তার দুইটি সন্তানও রয়েছে।
এ দিকে বিয়ের দাবি না মানলে প্রেমিকের বাড়িতে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছেন ওই নারী। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
জানা গেছে, বছর খানেক আগে কুষ্টিয়া কোর্ট ষ্টেশন থেকে পরিচয় হয় মেহেদী হাসান রিংকুর সাথে। এরপর থেকে তাদের দুজনের মুঠোফোনে কথা হয়। গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান ও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলেন তারা। বিয়ের আশ্বাস দিলে আগের স্বামীকে তালাক দেন ওই নারী।
এক সময় বিয়ের জন্য রিংকুকে চাপ দিলে নানা তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে বন্ধ করে দেয় মুঠোফোনসহ সব ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম। এরপর ওই নারী রিংকুর খোঁজে ছুটে আসেন তার বাড়িতে। নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে রিংকুর বাড়িতে অবস্থান নেন আশা ইসলাম। তবে মেলেনি কোনো আশ্বাস।
এদিকে, প্রেমিকা আশা ইসলাম আসার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক রিংকু। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন ওই নারী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রিংকু আমার সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক করেছে। বিবাহের আশ্বাসে স্বামী, সন্তান, বাবা-মা ছেড়ে চলে এসেছিলাম। এখন বিয়ে না করলে মরা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রিংকু আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :