শিরোনাম
◈ শিক্ষকদের মানোন্নয়নে বাংলাদেশকে সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা দেবে জাপান ◈ চতুর্থ প্রজন্মের চীনা যুদ্ধবিমান কিনতে চায় বাংলাদেশ : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন ◈ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন করে তদন্ত করা উচিত: হাইকোর্ট ◈ শেখ হাসিনা ও মঈন ইউসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল ◈ এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ ◈ সহিংসতাকারীদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ অবশেষে কেরাণীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ঢুকে পড়া তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ ◈ মিয়ানমার নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-চীনের বৈঠক, কার কী স্বার্থ? ◈ কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ‘ডাকাতদল’, এবার অভিযানে সেনাবাহিনী ◈ কিল-ঘুসিতে কৃষি ব্যাংকের সাবেক সিবিএ নেতার মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:১১ বিকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জানুয়ারি থেকে শুরু হবে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের  টোল আদায় 

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আজ ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে টোল আদায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা পিছিয়ে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে টোল আদায় শুরু হতে পারে।

৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আজ থেকে টোল আদায়ের কথা ছিল। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় টোলের হার নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং সিডিএ পতেঙ্গা প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মাণ করেছে।


সূত্র জানিয়েছে, ৪ হাজার ২শ ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে শুরু থেকে টোল আদায়ের কথা ছিল। তবে গত কয়েকমাস ধরে পরীক্ষামূলকভাবে যান চলাচল করলেও কোনো টোল আদায় করা হয়নি। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সিডিএ পতেঙ্গা প্রান্তে টোল প্লাজার নির্মাণ কাজও শেষ করেছে। ইতোমধ্যে সিডিএ ঘোষণা দিয়েছিল যে, ১৯ ডিসেম্বর (আজ) সকাল ১০টা থেকে নির্দিষ্ট হারে টোল প্রদান করেই যান চলাচল করতে হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে টোল আদায় কার্যক্রম কয়েকদিন পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচলের সুযোগ রেখে নতুন টোল হার অনুমোদন করেছে মন্ত্রণালয়। এতে জিইসি, সিআরবি, আগ্রাবাদ থেকে ফ্লাইওভারে ওঠে সিইপিজেড, সিমেন্ট ক্রসিং, কেইপিজেড, সি বিচে নামা সিএনজি টেক্সির জন্য ৩০ টাকা, কারের জন্য ৮০ টাকা, জিপ এবং মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০ টাকা, মিনিবাস ২০০ টাকা, বাস ২৮০ টাকা, ট্রাক (চার চাকা) ২০০ টাকা, ট্রাক (ছয় চাকা) ৩০০ টাকা এবং কাভার্ড ভ্যান ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সি বিচ, কেইপিজেড, সিইপিজেড থেকে ওঠে নিমতলা, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস এবং লালখান বাজারে নামার জন্য সিএনজি টেক্সির জন্য ৩০ টাকা, কারের জন্য ৮০ টাকা, জিপ এবং মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০ টাকা, মিনিবাস ২০০ টাকা, বাস ২৮০ টাকা, ট্রাক (চার চাকা) ২০০ টাকা, ট্রাক (ছয় চাকা) ৩০০ টাকা এবং কাভার্ড ভ্যানের জন্য ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জিইসি এবং টাইগারপাস থেকে ওঠে আগ্রাবাদ, ফকিরহাটে নামা আবার নিমতলা, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড থেকে ওঠে লালখান বাজার ও টাইগারপাসে নামার গাড়িসমূহের জন্য সিএনজি টেক্সির জন্য ২০ টাকা, কারের জন্য ৫০ টাকা, জিপ ৭০ টাকা, মাইক্রোবাস ৯০ টাকা, পিকআপ ১৩০ টাকা, মিনিবাস ১৮০ টাকা, বাস ২৫০ টাকা, ট্রাক (চার চাকা) ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশে ট্রাক (ছয় চাকা) এবং কাভার্ড ভ্যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত টোল প্রস্তাবে মোটর সাইকেল এবং ট্রেইলরের নামোল্লেখ করে চলাচল নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে।

সিডিএ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম জানিয়েছেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে টোলের টাকা সরাসরি ব্যাংকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এটি হয়ে গেলেই টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হবে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য,এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে তা ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার। প্রাথমিক সমীক্ষায় ২০টি র‌্যাম্প (যানবাহন ওঠানামার পথ) নির্মাণ করার কথা থাকলেও করা হয়েছে ১৪টি। এর থেকে আরও পাঁচটি অপ্রয়োজনীয় র‌্যাম্প বাদ দিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে নয়টি র‌্যাম্প দিয়ে যানবাহন ওঠানামা করবে। র‌্যাম্পের মোট দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে আছে মাত্র অর্ধেক। সিডিএ’র প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান র‍্যাংকিন। 

এক্সপ্রেসওয়ে চালুর কথা ছিল ২০২০ সালের জুনে। পরে তা পরিবর্তন করে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে আরও এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই গত বছরের ১৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 ২০১৭ সালে একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ার সময় তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয়। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণকাজের উদ্বোধন হলেও ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালে নকশা সংশোধন করে আরও এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপরও কাজ শেষ না হওয়ায় সর্বশেষ প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়