গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমার ময়দানে জুবায়েরপন্থী ও সাদপন্থীদের সংঘর্ষের পর প্রশাসনের নির্দেশ মতো ময়দান ছেড়ে গেছেন মুসল্লিরা। বর্তমানে পুরো ময়দান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি জোরদার করা হয়েছে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইজতেমার ময়দানের আশপাশের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হচ্ছে না। যারাই এসব এলাকা দিয়ে যাতায়াত করছেন, তাদের তল্লাশি করা হচ্ছে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে গাজীপুর জেলা পুলিশ।
এদিকে, আগামীকাল শুক্রবার থেকে জোড় ইজতেমা করতে চেয়েছিলেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা। সাদপন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন, সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। এতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে নিহত হন চারজন এবং আহত হন শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় হতাহতের দায় একে অপরের ওপর চাপায় উভয়পক্ষ।
এরপর গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বৈঠক হয়। এতে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে সাদ অনুসারীরা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ইজতেমা ময়দান খালি করে দেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আগামী ৩১ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ পর্বে অংশ নেবেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মাওলানা সাদের অনুসারীদের। উৎস: দেশরুপান্তর।
আপনার মতামত লিখুন :