শিরোনাম
◈ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন করে তদন্ত করা উচিত: হাইকোর্ট ◈ শেখ হাসিনা ও মঈন ইউসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল ◈ এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ ◈ সহিংসতাকারীদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ অবশেষে কেরাণীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ঢুকে পড়া তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ ◈ মিয়ানমার নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-চীনের বৈঠক, কার কী স্বার্থ? ◈ কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ‘ডাকাতদল’, এবার অভিযানে সেনাবাহিনী ◈ কিল-ঘুসিতে কৃষি ব্যাংকের সাবেক সিবিএ নেতার মৃত্যু ◈ কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে হানা দেয়া ডাকাতদের ২ দাবি ◈ ইতালির কঠোর ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় ৩৬টি দেশের শীর্ষে বাংলাদেশিরা!

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:২৮ দুপুর
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিক্সার মেশিনে পিষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট : কক্সবাজারের চকরিয়ায় অবৈধ ব্লক তৈরির মিক্সার মেশিনে পিষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের করুণ মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ তরছপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই শ্রমিক হলেন উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ ঘুনিয়া এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে মো. শাহিন (১৮) ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ করাইয়াঘোনার রুহুল কাদেরের ছেলে কামরানুল ইসলাম জিহান (২০)।

স্থানীয় লোকজন জানায়, সরকারী কোনো দপ্তর থেকে অনুমতি না নিয়ে দুই বছর আগে মিক্সার মেশিনের হলো ব্লক তৈরির কারখানাটি চালু করা হয়। এই মেশিনে বালু ও সিমেন্ট মিশিয়ে ব্লক তৈরি করায় একদিকে ওই কারখানার শ্রমজীবিরা জীবনঝুঁকিতে থাকে। অপর দিকে ওই কারখানায় মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধ পন্থায় আহরিত বালুর সাথে সিমেন্ট মিশিয়ে ব্লক তৈরির সময় নিকটস্থ পাড়া মহল্লা ও মসজিদ মাদ্রাসা এলাকায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পরিবেশ দুষিত হয়ে পড়ে।

এর প্রেক্ষিতে কারখানাটি তৈরীর পরপরই স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কোনো দপ্তরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি।

সেই অবৈধ কারখানায় বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মিক্সার মেশিনটি বন্ধ করে দুই শ্রমিক মেশিনটি পরিস্কার করার সময় হঠাৎ মেশিনটি চালু হয়। এ সময় মেশিনের ভিতরে আটকে পড়া শাহিন ও জিহান পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় । ঘটনাটি প্রথমে মালিকপক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অপর শ্রমিকরা তাদের দুই সহকর্মীকে পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৭টায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তাদের চেহারা ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ায় চেনার উপায় ছিল না। কিন্তু শ্রমিক ও নিকটাত্মীয়রা নিহত দুই শ্রমিকের পরিচয় সনাক্ত করেন।

সনাক্তের সময় হাসপাতালে আত্মীয়দের আহাজারীতে কয়েকশত মানুষ জড়ো হয়। জিহানের বড় ভাই জাহেদুল ইসলাম ও বড় বোন তাসমিন আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ভাই ভুলবশত নাকি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মারা গেছে, তদন্ত করতে হবে প্রশাসনকে। এ সময় শাহিনের মা হাসপাতালে এসে ছেলে মৃতদেহ দেখেই চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

ঘটনার ব্যাপারে মাস্টার মাইন্ড ব্লক ফ্যাক্টরীর মালিক মো. গিয়াস উদ্দিনের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ঘটনার পরপরই গিয়াস উদ্দিনকে চকরিয়া থানার আশপাশে ঘুরতে দেখা গেছে বলে চকরিয়া থানার সামনের ব্যবসায়ীসহ অনেকে জানান।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভুঁইয়া জানান, ঘটনাটি শুনেই হাসপাতালে পুলিশের একটি টিম পাঠিয়েছি। ওই টিম প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর মরদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সুত্র : দৈনিক আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়