শিরোনাম
◈ মোদির পোস্টের জবাবে যা বললেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ◈ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নতুন বার্তা ‘বাংলাদেশ’ ইস্যুতে ◈ স্কুল থেকে ছাত্ররা কওমি মাদরাসায় চলে যাচ্ছে, এটা ঠেকাতে হবে: শিক্ষাসচিব সিদ্দিক জোবায়ের ◈ হাসিনা-রেহানার ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক ◈ ওবায়দুল কাদেরের দেশে লুকিয়ে থাকা নিয়ে কী বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দোয়া করবেন ভাই, বোবা হয়ে আছি, বোবা: প্রিজন ভ্যান থেকে পলক (ভিডিও) ◈ ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন, ব্যাখ্যা চান অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ◈ আমরা সংসদ নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত: সিইসি নাসির উদ্দিন ◈ সরকারি চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন ◈ মালয়েশিয়াকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৩ দুপুর
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাপিয়ার চোখের কর্নিয়াটি বাড়ির ফ্রিজেই রয়ে গেল

ডেস্ক রিপোর্ট : অপহরণের পর চার মাস আটকে রেখে চালানো হয় ধর্ষণ। একপর্যায়ে চোখ উপড়ে আহত অবস্থায় কিশোরীকে ফেলে রেখে যায় তার বাড়ির সামনে। চিকিৎসার অভাবে সেই কিশোরী সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মারা গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। নিহতের পরিবার আদালতে মামলা করলেও পুলিশ তিন মাসেও কাউকে ধরতে পারেনি। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত কিশোরীর নাম পাপিয়া আক্তার (১৪)। সে ওই গ্রামের মো. আবুল কালামের মেয়ে। পাপিয়া নান্দাইল উপজেলার একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আর অভিযুক্ত ছেলেটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। 

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাপিয়াকে প্রেম নিবেদনের পর ব্যর্থ হয়ে গত ১ জুন মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় ছেলেটি। দীর্ঘদিন অজ্ঞাত স্থানে রেখে গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে কিশোরীকে বাড়ির সামনে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকে ময়মনসিংহ ও পরে ঢাকার আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ১৫ দিন চিকিৎসায় বাঁ চোখ বাঁচাতে ডান চোখটি ওঠানো হয়। কিন্তু অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করতে না পেরে পরিবার মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে। চিকিৎসকরা সঙ্গে দিয়ে দেয় চোখের কর্নিয়া। চিকিৎসকের পরামর্শ মতে কর্নিয়াটি নিরাপত্তা ও সতেজ থাকার জন্য বাড়ির ফ্রিজে রাখা হয়। পরিবার অপেক্ষায় ছিল মেয়েটি সুস্থ হলে আহত চোখে কর্নিয়া স্থাপন করা যাবে। দীর্ঘ দিন যন্ত্রণার পর সোমবার মারা গেছে মেয়েটি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মা রানু আক্তার বলেন, ‘দমডা যাওনের আগেও আমার ধন আমারে কইছে, আম্মা আমার কাছে হোসেনের (অভিযুক্ত) চোখটা আইনা দেও। আমার দম যাওনের আগে দেইখ্যা যাইতাম চাই। আমি এ হত্যার বিচার চাই।’

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ‘মেয়ের পরিবারকে সাহায্যসহ আইনি সহায়তা দিতে এসেছিলাম। এ ঘটনা নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা হলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব পায়। তবে এখন ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো নতুনভাবে আইনি প্রক্রিয়া করা হবে।’

জানতে চাইলে ময়মনসিংহ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের মতো করে আইনি প্রক্রিয়া করব। তারপরও নিহতের পরিবার যদি থানায় হত্যা মামলা করে, সেটিও করতে পারে।

সুত্র : নিউজ ২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়