সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দোকানে মোবাইল চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর জেরে রোববার আবারও সংঘর্ষে জড়ায় তিনটি গ্রামের কয়েকশ মানুষ।
জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় মাইকিং করে লোক জড়ো করার পর ১০ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় গ্রামবাসী। উপজেলার থানা বাজারে সিলেটে-ভোলাগঞ্জ সড়কে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৫১ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে দুপুরে সেনাবাহিনী ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ওই সময় প্রায় তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে কোম্পানীগঞ্জজুড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার থানাবাজারে শ্রমিক দলের কর্মিসভা ছিল। সভায় যোগদানকারী উপজেলা শ্রমিক দলের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ বাবুল তার মোবাইল ফোন বাজারের ব্যবসায়ী ও কাঁঠালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুরের দোকানে চার্জে লাগিয়ে যান। মোবাইল চার্জ নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এ নিয়ে কাঁঠালবাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ ও বর্ণী গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রোববার সকালে মাইকিং করে লোক জড়ো করে বর্ণী গ্রাম থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে থানাবাজারে যায় শতশত লোক। অন্যদিকে থানাবাজারের পার্শ্ববর্তী কাঁঠালবাড়ি গ্রামের লোকজনও লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে যায়। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
সিলেটের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবারের ঘটনায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমঝোতার কথা বলার পরও রোববার তারা সংঘর্ষে জড়ায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের নিয়ে বসা হবে। উৎস: সমকাল।
আপনার মতামত লিখুন :