শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চট্রগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরগামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের গাংরা নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের গাংরা-পদুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিয়া বাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদী হাসান। নিহতরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মদন মিয়ার ছেলে
বাসযাত্রী মো. নাছির মিয়া (৬০), ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামনগর গ্রামের অতুল চন্দ্র দাসের ছেলে বাসের সুপারভাইজার শ্যামল (৫৫)। তবে বাসের চালকের সহযোগীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৭জন। নিহত যাত্রীদের মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে মিয়া বাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের গাংরায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরগামী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এসময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসের সামনের অংশ। চিৎকার করে ওঠেন যাত্রীরা। এ সময় অনেকে বাস থেকে ছিটকে পড়ে যান। মিয়া বাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিতে থাকা যাত্রীদের প্রথমে উদ্ধার করতে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও যুক্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ৩ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
তিনি বলেন, ‘নিহত ৩ ব্যক্তির একজন বাসযাত্রী। বাকি দুজন হলেন বাসের সুপারভাইজার এবং হেলপার। দুর্ঘটনা পরপরই চালক আহত অবস্থায় পালিয়েছে। হেলপারের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :