শিরোনাম
◈ নেকাব না খোলায় পরীক্ষা দিতে দেয়নি অধ্যক্ষ, অভিযোগ ছাত্রীর ◈ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে মাথাপিছু জিডিপিতে এগিয়ে বাংলাদেশ ◈ গবেষণায় উঠে এল ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ◈ ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের ◈ এনসিএিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ঢাকাকে ১০ উইকেটে হারালো চট্টগ্রাম ◈ সুনামগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার ◈ পাইপলাইনে তেল আসবে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায়, সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা ◈ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগ: আ. লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ◈ ইংলিশ লিগে রাতে মাঠে নামছে লিভারপুল ও আর্সেনাল, লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ ◈ ভারতের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বাংলাদেশে হিন্দুদের সাহায্য করছে না

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:১৯ বিকাল
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেঘনার তীব্র ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঢালচর, নিঃস্ব হাজারো মানুষ 

ফরহাদ হোসেন, ভোলা প্রতিনিধি : ভয়াল মেঘনার তীব্র ভাঙনে বিলীন হচ্ছে  চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপচর ইউনিয়ন ঢালচর। প্রতিনিয়ত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতঘর, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বসতঘর হারিয়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে রাস্তার পাশে সরকারি জমিতে ঝুঁপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছেন। দেখার যেন কেউ নেই। তবে দীর্ঘ দিন ধরে ঢালচর ইউনিয়ন অধিকাংশ এলাকা মেঘনার ভাঙনের শিকার হলেও এখনো ভাঙন রোধে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। 

ইলিশের জন্য ক্ষেত ঢালচর এইউনিয়নটির তিন দিকে মেঘনা নদী ও একপাশে বঙ্গোপসাগরের মোহনা। চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠে বিচ্ছিন্ন ঢালচর ইউনিয়ন। আগে এটি চর কুকরি-মুকড়ি ইউনিয়নের সঙ্গে থাকলেও ২০১০ সালের দিকে পৃথক ইউনিয়ন হিসেবে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়। শুরু থেকে ঢালচর ইউনিয়নে প্রায় ১৭ হাজার মানুষের বসবাস থাকলেও বর্তমানে বাস করছেন ১০ হাজার মানুষ। ঢালচর ইউনিয়নে রয়েছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত। এখানকার মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস মাছ শিকার ও কৃষিকাজ। বেশ কয়েক বছর ধরে অল্প অল্প করে ভাঙন শুরু হয় ঢালচর ইউনিয়নটিতে। কিন্তু গত প্রায় ১০ বছর ধরে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঢালচর ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ডই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একাধিকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে অনেক পরিবার বসতঘর, ফসলি জমি হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে সরকারি জমিতে ঝুঁপড়ি ঘর তুলে কোনো রকম বাস করছেন। আবার হাজারো পরিবার বাধ্য হয়ে ছেড়েছেন ঢালচর।

ঢালচর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু তাহের, মো. রফিক ও মো. রিয়াজ জানান, তারা ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে ঢালচরে বসবাস করছেন। তাদের বসতঘর একবার ভাঙলে আবার কিছু দূরে গিয়ে আবারও বসতঘর তুলেন। আবারও ভাঙনের শিকার হচ্ছেন তারা। এভাবে তারা পৃথকভাবে কেউ ৩ বার, কেউ ৭ বার, আবার কেউ ১০ বার রাক্ষুসে মেঘনা নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছেন। নদী ভাঙনের কারণে কয়েক দফায় বসতঘর ও ফসলি জমি হারিয়ে এখন নিঃস্ব প্রায় তারা। বর্তমানে সব হারিয়ে সরকারি জমিতে ঝুঁপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছেন তারা।

ওই ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও শাহে আলম বলেন, নদী ভাঙনের কারণে হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব। অনেক পরিবার ঢালচর থেকে অনত্র চলেও গেছে। এখনও প্রায় ১০ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দ্রুত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেয়া এবং ভাঙনের শিকার হয়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে সরকারি জমিতে ঝুঁপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছেন তাদের পুনর্বাসন করার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তারা।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো-২) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, ভোলায় বর্তমানে মেইন ল্যান্ড ভাঙন রোধে কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেগুলোর কাজ শেষ হলে প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ঢালচরকে মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়