শিরোনাম
◈ মোটরযান চলাচল নিয়ে কঠোর নির্দেশনা, না মানলেই শাস্তি ◈ কুষ্টিয়ায় অভিযানে জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যু, ৩ পুলিশ অবরুদ্ধ (ভিডিও) ◈ শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের ◈ সত্যতা জানা গেল শেখ হাসিনার জনসভার দাবি করা ভিডিওর  ◈ অন্তর্বর্তী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ  ◈ রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পন্ন করার পক্ষে সরকার : অর্থ উপদেষ্টা ◈ আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ বললেন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রিতে নামার সম্ভাবনা ◈ নিজ স্বার্থেই বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেবে : জয়শঙ্কর ◈ কোরআন তেলওয়াত দিয়ে শুরু হয় ট্রাম্পের বিজয় উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠান

প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:১১ বিকাল
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম হানাদারমুক্ত দিবস 

জিল্লুর রয়েল, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : ১৩ ডিসেম্বর বগুড়ার নন্দীগ্রাম হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা নন্দীগ্রামে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করেছিলো। জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হিলি হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। 

সেসময় তারা পাকসেনা ও রাজাকারদের সাথে যুদ্ধ শুরু করে। এরপর তারা নন্দীগ্রাম আসার পথে কাহালুর কড়ই বামুজা গ্রামে পাকহানাদারদের সাথে যুদ্ধ করেছে। সেই যুদ্ধে ১৮জন পাকসেনা নিহত হয়েছিলো। তারপর মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ৯ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামে প্রবেশ করে ৩ দফা যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। প্রথমে ১১ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামের মন্ডলপুকুর সিএন্ডবি সড়কের পাশে থেকে পাকসেনা ও তাদের দোসরদের ওপর আক্রমণ করে। ওই দিন রণবাঘা বড় ব্রীজের নিকট রাজাকারদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়েছিলো। অপরদিকে বেলঘরিয়ায় পাকসেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেই যুদ্ধে একজন পাকসেনা আত্মসমর্পণ করে। 

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকসেনারা রাজাকারদের সহযোগীতায় চাকলমা গ্রামের আকরাম হোসেন, বাদলাশন গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ, রুস্তমপুর গ্রামের মহিউদ্দিন (মরু মন্ডল), ভাটরা গ্রামের আব্দুস সোবহান, হাটকড়ই গ্রামের ছমির উদ্দিন ও তার দুই পুত্র আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুর রশিদকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা ঘটে বামনগ্রামে। সেখানে ৯জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে গণকরব দেয় তারা।

এছাড়াও আরো অনেক হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা নন্দীগ্রাম থানা আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ২০০ পাকসেনা রাজাকারদের সাথে লড়াই করে। সেই যুদ্ধে ৮০ জন রাজাকার আটকসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিলো। নন্দীগ্রামে সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা ঘটে ডাকনীতলায়। সেখানে পাকসেনা রাজাকারদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন মরণ যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ৭১ এর ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার ও রাজাকারদের হটিয়ে নন্দীগ্রামকে হানাদারমুক্ত করে মহান স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হন। ১৩ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা ইউনিট কমান্ড বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়