হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মদিনা টাওয়ারের সামনের সড়কে আয়নাল ব্যাপারী (৫০) নামের এক পরিবহন শ্রমিককে বেদড়ক পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরো ঘটনা সিসিটিভির ফুটেজ ইতিপূর্বে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া বাস কাউন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার সময় ভাঙ্গা উপজেলার বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ( বহিষ্কারকৃত) সাইদুল হক মিঠু শিকদারের নেতৃত্বে ৫/৭ জন যুবক লাঠি দিয়ে তাকে বেদড়ক পিটায় বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
গুরুতর আহত আয়নাল বেপারী ভাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সে মাদারীপুরের সার্বিক পরিবহনের চেকার ও মাদারীপুর সদরের আব্দুল খালেক বেপারীর পুত্র। আহত আয়নাল বেপারীর দাবি, ভাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃতকৃত) সাইদুল হক মিঠু শিকদার, প্রিন্স মুন্সি, ওসমান গনি আকাশ, শওকত শিকদার সোহেল, ইয়ামুন ইমরান হোসেন সহ আরো কয়েকজন তাকে বেধড়ক মারপিট করেন।
সার্বিক পরিবহনের চেকার আয়নাল বেপারী আরও জানান, 'আমার সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। তাদেরকে আমি ভালো করে চিনিও না। তারা একটি ভ্যান থেকে নেমে আমাকে বলে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আমাদের সার্বিক কাউন্টার দেস না কেন। এ কথা বলার সাথে সাথে মিঠুর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক লাঠি দিয়ে আমাকে কুকুরের মত পিটিয়ে মাটিতে শুয়াইয়া ফেলে। আমি হার্ডের রিং পড়ানো রোগী । আমি খুবই অসুস্থ ও নিরহ লোক। এরপর আমি ভাঙ্গা থানায় বিষয়টি অবগত করি। পরে ভাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। আমার অবস্থা খুবই খারাপ। এ ঘটনার আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।'
এ বিষয়ে সার্বিক পরিবহনের আরেক চেকার রেজাউল শরীফ জানান, 'গত আগস্ট মাসে মিঠু সিকদার আমার কাছে ভাঙ্গায় সার্বিক কাউন্টার চায়। আমি তাদেরকে বলেছি, কাউন্টার দেওয়ার মালিক আমি না। আপনারা মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর আজকে এসে তারা হঠাৎ আমার চেকার আয়নাল ব্যাপারীকে অমানবিক মারধর করেছে। আমরা শ্রমিক আমাদের কেন মারা হল, এর বিচার চাই।'
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি সরেজমিনে তদন্ত করি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে বক্তব্য শুনেছি। তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :