শিরোনাম
◈ নির্মাণকাজের ধুলা, ইটভাটা এবং যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা ◈ ১০  এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ◈ সুমাইয়াকে অধিনায়ক করে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের স্কোয়াড ঘোষণা ◈ রাজশাহীকে হারালো ঢাকা মেট্রো, রংপুর জিতলো ঢাকা বিভাগের বিরুদ্ধে ◈ বেসরকারি খাত উন্নয়নে আরও ১২০০ কোটি টাকা দেবে এডিবি ◈ এবার যে কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হবে ◈ ১৮টি ব্যাংকের বিপদের কারণ হতে পারে শীর্ষ তিন গ্রাহক ◈ শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সাকা চৌধুরীর ছেলে! (ভিডিও) ◈ অস্ট্রেয়িার কাছে হোয়াইট ওয়াশের পর ভারতের কপালে জুটলো আইসিসির সাজাও ◈ পুলিশের যেসব নিষেধাজ্ঞা থাকছে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে

প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:২৮ রাত
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার যে কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হবে

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই তিন মাসের দীর্ঘমেয়াদি এক পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. মমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত সেই পূর্বাভাসে বলা হয়, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি- এই তিন মাসে মোট ১২টি শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

উল্লেখ করা হয়েছে, এ সময় সামগ্রিকভাবে দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকবে।

এই সময়ের মাঝে অন্তত তিনটি, সর্বোচ্চ আটটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, উত্তরপূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে তিন-চারটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে।

তাপমাত্রা যদি আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তবে সেটিকে ধরা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

তাপমাত্রা এর চেয়ে কমে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।

আর তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটি হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

তবে শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরতে হলে এই তাপমাত্রার স্থায়িত্বকাল অন্তত তিনদিন হতে হবে। অর্থাৎ, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও তাকে কমপক্ষে তিনদিন থাকতে হবে।

আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেছেন, এবছর শীতের অনুভূতি গতবারের চেয়ে বেশি হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, কুয়াশা এবং অতি বৃষ্টি।

তিনি বলেন, “বাতাসে অনেক ধুলাবালি থাকায় কুয়াশাটা বেশি হবে এবং শীতও বেশি লাগবে।”

সেইসাথে, এ বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি ছিল। বেশি শীতের এটাও একটি কারণ।

এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, “প্রতিবছর শীত একরকমভাবে আসে না।”

“শীতের প্রথমদিকে যখন শৈত্যপ্রবাহ থাকে না, তখন আমাদের এই অঞ্চলের নিম্ন স্তরে যে জলীয়বাষ্প থাকে, তা ভোরবেলা যখন তাপমাত্রা কম থাকে, তখন ঘনীভূত হয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতি তৈরি করে। আজকেও সমস্র বাংলাদেশে সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে,” যোগ করেন তিনি।

“ওই জলীয়বাষ্প মাঝরাতের পর থেকে ঘনীভূত হতে থাকে এবং ভোর ৩টার পর তা সমগ্র আকাশ ঢেকে ফেলে। দিন গড়িয়ে মধ্যাহ্ন পর্যন্ত থাকে সেই কুয়াশা এবং বিকাল ৩টা নাগাদ বিলীন হয়,” বলেন আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান।

মূলত, বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের জলীয়বাষ্পর উপস্থিতির কারণেই কুয়াশার উৎপত্তি। এই ধরনের কুয়াশা বায়ুতাড়িত হয়ে স্থানান্তরিত হয় না।

“বাতাস থাকলে এই কুয়াশা অন্যদিকে চলে যেত। এটি শীতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ডিসেম্বর মাসে এ ধরনের অবস্থা আমরা দেখি। এবছরে আজই বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রথম এরকম হলো,” তিনি যোগ করেন।

কুয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতির জন্য তিনিও ধুলাবালিকে দায়ী করেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়