জিয়াবুল হক, টেকনাফ : পাশ্ববর্তীদেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধের জেরে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মংডু শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। এরপর থেকে দখলের পর নাফনদীর আরাকান আর্মি জলসীমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা জোরদার করেছে সীমান্তের টহল কার্যক্রম।
এ অবস্থায় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে বন্ধ রয়েছে মাছ ধরা ট্রলারও।
সেন্টমার্টিন ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমেদ জানান, ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানানো হয়েছে। ফলে ১১ ডিসেম্বর বুধবার থেকে সেন্টমার্টিন থেকে কোনো ট্রলার টেকনাফের উদ্দেশ্যে ছাড়বে না। সবশেষ মঙ্গলবার টেকনাফ- সেন্টমার্টিন রুটে নিত্যপণ্য ও যাত্রী নিয়ে পাঁচটি ট্রলার চলাচল করেছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি টেকনাফ নাফনদীর সীমান্তের ওপারের এলাকাটি পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। এরপর থেকে নাফনদীতে সব নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এ বিষয়ে টেকনাফের ফিশিং ট্রলার মালিকদের অবহিত করা হয়েছে। যেহেতু নাফনদী সীমান্ত এই মুহূর্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে কোনও ট্রলার না যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এর আগে, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে আরাকান রাজ্যের মংডু অঞ্চলের সামরিক জান্তার বর্ডার গার্ড পুলিশ ডিভিশনের (নাখাখা-৫) শেষ পোস্টটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা।
আপনার মতামত লিখুন :