শিরোনাম
◈ সার্ককে সক্রিয় করতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে আবারও আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা  ◈ মৃত জেনেও ডিএসইর দুই পরিচালককে বিএসইসির তলব ◈ তালিকা প্রকাশ এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের ◈ ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন দাবিতে ভিডিও প্রচার, সত্যতা জানালো রিউমর স্ক্যানার ◈ আয়নাঘরের কথা, গুম-খুন স্বীকার করলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক, চাইলেন ক্ষমা (ভিডিও) ◈ প্রাথমিকের শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর দিলেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ চিন্ময়ের জামিন: জেলা পিপির ‘বিশেষ নির্দেশনা’ নিয়ে আদালতপাড়ায় অস্বস্তি, ক্ষোভ ◈ তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বক্তব্য রাজনীতিবিরোধী : মির্জা ফখরুল ◈ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, জুভেন্টাসে কুপোকাৎ ম্যানচেস্টার সিটি ◈ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনা ৩-২ গোলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারালো

প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৪ দুপুর
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নগরকান্দায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আহত-১০

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে অন্তত ৩০টি বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।  বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্যকাইচাইল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাইচাইল  ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়ার সাথে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদারের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে বুধবার সকালে ইব্রাহিম ও জিন্নাহর সামর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে হামলা পাল্টা হামলা চালিয়ে অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ও ১০ দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০ জন আহত হলে, তাদের নগরকান্দা-ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়া বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদরাসা বাজারে আমার ও জিন্নাহ সরদারের সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জিন্নাহর শতাধিক সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদরাসা বাজারে এসে আমাদের প্রায় ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। এ সময় আমার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু পরদিন বুধবার সকালে আবারো জিন্নাহর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। তখন আমার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় উত্তেজিত লোকজন কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। তবে কোনো লুটপাট হয়নি।

উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদার বলেন, আমি ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় থাকি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইব্রাহিমের লোকজন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িসহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।


নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. সফর আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছু বাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়