শিরোনাম
◈ বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ অফিস ফাঁকির অভিযোগে ◈ বিমানবন্দরে গ্রেফতার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ◈ হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে অনেক হোটেল-রেঁস্তোরা ◈ আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ পরিবর্তন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা, বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবের নাম ◈ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান  হান্নান অস্ত্রসহ গ্রেফতার  ◈ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস ◈ নতুন রাজনৈতিক দল আসছে ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে (ভিডিও) ◈ জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা ◈ ‘দায়মুক্তি’ শিরোনামে আওয়ামী লীগের লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০৭ বিকাল
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৭ ডিসেম্বর শেরপুর মুক্ত দিবস

তপু সরকার হারুন : ইতিহাসের এই দিনে (১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর) পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত করেন। এদিন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক প্রয়াত জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকাপ্টারযোগে নেমে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে এক সংবর্ধনা সভায় শেরপুরকে মুক্ত বলে ঘোষণা দেন। ওই সময় শেরপুরের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা জেনারেল অরোরাকে এক সংবর্ধনা দেন। তিনি সংবর্ধনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেরপুরকে হানাদারমুক্ত বলে ঘোষণা দেন। ওইসময় মুক্ত শেরপুরে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

জানা যায়, ৭ মার্চ স্বাধীনতা ডাক দেওয়ার পর দেশের অন্যান্য স্থানের মত শেরপুরবাসী পুরোপুরি যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ হয়। স্বাধীনতাকামী ছাত্রজনতা যেকোন কিছুর বিনিময়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে মোকাবেলা করার দৃঢ় প্রত্যয়ে দৃপ্ত হয়। এদিকে ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে পাক হানাদার বাহিনী ব্যাপক মর্টারশেলিং এর মাধ্যমে শেরপুর শহরে শনিবিগ্রহ মন্দিরের পূরোহিতকে গুলি করে হত্যা করার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে। পাক সেনারা স্থানীয় দালালদের সহায়তায় শহরের দোকান-পাট লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দখল ও নির্মমভাবে হত্যাসহ ধর্ষণ প্রভৃতি অত্যাচার চালায়। ১১নং সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্র বাহিনীর সহায়তায় লড়াই চালিয়ে আসছিল এবং ২৪ অক্টোবর কামালপুর অবরোধ শুরু হয়। এছাড়াও ওই আক্রমণের রণ-কৌশল ছিল ভিন্ন ধরনের।

১৩ নভেম্বর কর্নেল তাহের কামালপুরের উপর পূর্ণ আক্রমণের নির্দেশ দেন। কারণ কর্ণেল তাহেরের নেতৃত্বাধীন ১১নং সেক্টরের মূল পরিকল্পনা ছিল কামালপুর, শেরপুর, জামালপুর এবং টাঙ্গাইলের ওপর ক্রমানুযায়ী আক্রমণের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া, যাতে করে ঢাকায় চূড়ান্ত আঘাত হানা যায়। ১৪ নভেম্বর ভোরে আবার যুদ্ধ শুরু হলে শেরপুর-বকশীগঞ্জ সড়কের মাঝপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে দুই প্লাটুন সৈন্যসহ পাকবাহিনীর মেজর আইয়ুব আহত হন। এদিন বিজয়ের মাঝামাঝি সময়ে তুমুল সম্মুখযুদ্ধে পাকসেনাদের কামানের গোলার আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের আহত হয়ে একটি পা হারান।

২৪ নভেম্বর শেরপুর সদর থানার কামারিয়া ইউনিয়নের সুর্যদী গ্রামে পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের অব্যাহত অবরোধের মুখে ৪ ডিসেম্বর কামালপুর ঘাঁটির পাক সেনারা আত্মসর্মপণ করে। এদিকে কামালপুর দুর্গ পতনের পর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর শালচূড়া ক্যাম্প ও আহাম্মদনগর ঘাটির পাকসেনারা পিছু হটতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে শেরপুর থেকে পিছু হটে জামালপুর পিটিআই ক্যাম্পে গিয়ে জমায়েত হয়। এভাবে রাতের আধাঁরে শেরপুর পাকবাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় এবং ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে শেরপুর মুক্ত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়