ফরহাদ হোসেন, ভোলা প্রতিনিধি: আওয়মীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ও ভোলা-৩ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার ছাত্রদল কর্মী মোঃ আরিফ হোসাইন বাদি হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করলেও মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি প্রকাশ করে পুলিশ।
মামলার বিবরনে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবৈধ আটকাদেশে তার কারামুক্তি ও সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় প্রত্যেক জেলা শহরে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি। এর ধারাবাহিকতায় ওইদিন জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর এবং সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর পুত্র আসিফ আলতাফ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সমাবেশের বিষয়ে জানতে আসামীরা জেলা বিএনপি অফিসে হামলা,ভাংচুর চালায়।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম বিপ্লব, ভোলা পৌর সভার সাবেক মেয়র মনিরুজ্জমান মনির, বোরহানউদ্দিন পৌর সভার সাবেক মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম, দৌলতখান পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার, চরফ্যাসন পৌর সভার সাবেক মেয়র মোঃ মোর্শেদ, চরফ্যাশন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন, দৌলতখান উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর খান, চরফ্যাশন পৌরসভার সাবেক মেয়র বাদল চন্দ্র দেবনাথ, বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, কালমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপনসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
ভোলা মডেল থানার ওসি আবু শাহাদাৎ মো: হাচনাইন পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তবে এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :