হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর সদরে একাধিক মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও দুই কনস্টেবল হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান।
এর আগে রবিবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ভাটি কানাইপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহত তিন পুলিশ সদস্য জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাটি কানাইপুর এলাকার চার সহোদর কামরুল, জসিম, আনোয়ার ও বাদশার নামে কোতয়ালী থানায় সন্ত্রাসী, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া গত ২৩ অক্টোবর ওই চার সহোদরের বিরুদ্ধে মারপিটের আরো একটি মামলা দায়ের করেন একই গ্রামের আনোয়ারা বেগম নামে এক নারী। এসব মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান সিকদার নেতৃত্বে রবিবার বিকেলে আসামিদের ধরতে ফোর্স নিয়ে তাদের (আসামীদের) গ্রামের বাড়িতে অভিযান শুরু করে। এসময় একাধিক মামলার আসামি কামরুলকে গ্রেপ্তারও করা হয়। কামরুলকে গ্রেপ্তারের পর মাদক কারবারি আনোয়ার, জসিম, বাদশার নেতৃত্বে বেশকিছু লোকজন লোহার পাইপ, ছুরি ও টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে কামরুলকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আসামিরা পুলিশের তিন সদস্যকে বেদমভাবে মারপিট করে। হামলায় আহত হন কোতয়ালী থানার এসআই হাসান সিকদার, কনস্টেবল সাগর চন্দ্র সরকার ও মো. মাহমুদুল হাসান স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে ফিরে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
এ বিষয়ে রাতেই থানায় পুলিশের হামলা ও সরকারি কাজে বাধাদানের মামলা হয়। এরপর থেকে পুলিশ ওই এলাকায় চিরোনি অভিযান শুরু করলে সোমবার ভোরে কামরুল, আসমা ও আছিয়া নামে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
হামলার শিকার কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক হাসান সিকদার জানান, বেশ কয়েকটি মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং আসামি কামরুলকে ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় আমিসহ আরো দুই কনস্টেবল আহত হয়েছে। আমরা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছি।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দানের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করে রবিবার রাতেই মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে কামরুল, আসমা ও আছিয়া নামে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :