আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস প্রতিফলিত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমতে থাকায় শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর ভারি কুয়াশার কারণে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা ৪ দিন ধরে একই তাপমাত্রা বিরাজ করলেও আজ আবারও তা কমে গেছে। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠানামা করছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ১১ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে। অব্যাহতভাবে রাতে তাপমাত্রা কমতে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। দিনের তাপমাত্রা থাকছে ২৮ ডিগ্রির ঘরে। সন্ধ্যা নামলেই হিমেল হাওয়ায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
এদিন সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কার্যালয়। এর আগের ৪দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সকালে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মনোয়ারুল ইসলাম জানান, জায়গার অভাবে শিশুদের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত কয়েকদিন ধরে আগের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সামনের দিকে যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে। আগামী মাসে একাধিক মুদু এবং মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
জেলায় ভারি কোন শিল্প কারখানা না থাকায় পাথর শ্রমিক সহ নদী কেন্দ্রীক মানুষের কাজের ক্ষেত্র করে গেছে। মহানন্দা নদীর হিম জলরাশি থেকে কষ্ট করে পাথর সংগ্রহ করছে শ্রমজীবি মানুষ।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেদ আলী জানান, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকল মানুষের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। শীত মোকাবিলা করতে আগাম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ টি উপজেলায় ২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত বরাদ্দসহ খাদ্য সহায়তা চেয়ে মন্ত্রনালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরের সূর্য উঠলেও হালকা কুয়াশা ঝরা প্রকৃতি। সবুজ ঘাসের ডগায় টলমল করছে ভোরের শুভ্র শিশির। বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছে শিশির কণা। শিশির মাড়িয়ে কাজে যেতে দেখা যায় চাষিদের। শীত ঘিরে বাংলার ঘরে ঘরে প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্নের আয়োজন।
স্থানীয়রা জানায়, ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের মাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হচ্ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত গায়ে ভারি কাঁথা নিতে হচ্ছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয় কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে। তবে নভেম্বর থেকেই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকে কেন্দ্র করে নবান্নের গুঞ্জনও শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে।
এদিকে, শীতকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগরদের। বিক্রি বেড়েছে মৌসুমি শীত বস্ত্রের দোকানগুলোতে। শীতের প্রস্তুতি হিসেবে শীত আসার দুয়েক মাসের আগে থেকেই কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় কারিগরদের। এছাড়া ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে শীতের কাপড় আনতে শুরু করেছেন। শীতের আগেই শীতের কাপড় এবং লেপ-তোষক তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় অনেককে।
এদিকে, শীতের কারণে হালকা বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মনোয়ারুল ইসলাম জানান, জায়গার অভাবে শিশুদের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত কয়েকদিন ধরে আগের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সামনের দিকে যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে। আগামী মাসে একাধিক মুদু এবং মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
জেলায় ভারি কোন শিল্প কারখানা না থাকায় পাথর শ্রমিক সহ নদী কেন্দ্রীক মানুষের কাজের ক্ষেত্র করে গেছে। মহানন্দা নদীর হিম জলরাশি থেকে কষ্ট করে পাথর সংগ্রহ করছে শ্রমজীবি মানুষ।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেদ আলী জানান, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকল মানুষের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। শীত মোকাবিলা করতে আগাম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ টি উপজেলায় ২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত বরাদ্দসহ খাদ্য সহায়তা চেয়ে মন্ত্রনালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :