ফারুক আহাম্মদ, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর চান্দলা বাজার এজেন্ট গ্রাহকের ৫৫ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ৷ গত ৩০ অক্টোবর দুপুরে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে চান্দলা এলাকায় ৷ খবর পাওয়ার পর থেকে জড়ো হতে থাকে চান্দলা বাজার এজেন্ট কেন্দ্রের গ্রাহকরা ৷
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৩৪ জন গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক জন কর্মকর্তা ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাহক বলেন, লিমা আক্তার নামে ব্যাংকে একজন ম্যানেজার ছিল সে হচ্ছে এ কাজের কারিগর ৷ আমরা টাকা তুলতে আসলে ৩০ হাজার দিয়ে বলত প্রিন্টারে সমস্যা পরে রিসিট নিয়ে যাবেন, আর বাকি টাকা আপনার একাউন্টে চলে যাবে ৷ এভাবে সার্ভারে সমস্যা, প্রিন্টারে সমস্যা, ব্যালেন্স সমস্যা কথা বলত। আর এসবই করতো ফিঙ্গার দেবার পর ৷
এ অভিনব কৌশলে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন গ্রাহকের ৫৪ লক্ষ ৩১ হাজার২ শত ৪০ টাকা উধাও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ মিঃ বুড়িচং শাখার অফিসার মোঃ মনির হোসেন জানান এ এজেন্ট কেন্দ্রটি সাবেক ভিপি জাকির হোসেনের নামে ছিল। উনার মৃত্যুর পর এস এম নাজমুল হাসান পাভেল নামে বুড়িচং- জামতলার এক লোক চালাত ৷ বিভিন্ন ভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে লিজা আকতার এবং পাভেল ৷
আমি মাঝে মাঝে এ এজেন্ট কেন্দ্রের কোন সমস্যা হলে আসতাম৷ আমার জানামতে আঃ মতিন অফিসার, শাহাদাৎ সালমান জুনিয়র অফিসার এবং আমি মনির হোসেন এ এজেন্ট কেন্দ্রের দায়িত্বে আছে৷
এখানে টাকার গড়মিল চলছে প্রায় ১ থেকে দের মাস আগে থেকে ৷ তখন থেকে লিমা আকতার ম্যানেজার এবং নাজমুল হাসান পাভেল চান্দলা শাখায় আসা বন্ধ করে দেন ৷
গ্রাহকের প্রায় অর্ধকোটি টাকা উধাও হওয়ার ১ মাস পার হলেও এখন পযর্ন্ত তেমন কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বুড়িচং- শাখার ম্যানেজার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, অলরেডি অনেকের টাকা দেয়া হয়েছে ৷ বড় এমাউন্টের টাকা এখনও দিতে পারি নাই ৷
৩টি ডেইটে ৩৪ জনের মধ্যে ২২ জনকে তাদের টাকা দেয়া হয়েছে৷ সবাইকে তাদের টাকা দেওয়া হবে৷ তবে সময় লাগবে৷ যারা সাধারন গ্রাহকের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করেছে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
আপনার মতামত লিখুন :