অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ইমোতে পরিচয়ের পর প্রেম। পরে মুঠোফোনে বিয়ে। এরপর স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ঘর ছেড়ে ঝিনাইদহ থেকে ঘর ছেড়ে কিশোরগঞ্জে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক নারী। গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) থেকে এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান করছেন ৪০ বছর বয়সী ওই নারী।
এদিকে প্রেমিকার আগমনে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন ওই প্রেমিক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়।
ওই নারী জানান, তার বাড়ি ঝিনাইদহে। চার বছর আগে অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ইমোতে পরিচয় হয় ওই যুবকের সঙ্গে।
এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর মুঠোফোনেই তাদের বিয়ে হয়। গত ২৫ নভেম্বর প্রেমিকাকে মুঠোফোনে ওই যুবক তার বাড়িতে আসতে বলেন। ওইদিনই ওই নারী ঘর ছেড়ে বের হয়ে যান।
পরে ওইদিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মির্জাপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন ওই যুবক। পরে মোটরসাইকেলে তুলে তার বাড়িতে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘আমাকে বাড়িতে আনার পর তার মা তাকে হাতে ধরে টেনে নিয়ে যান। পরে তাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। কিছুক্ষণ পর আমাকেও তার মা, তার দুই বোন ও তার এক ভাবি টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে দেন।
পরে আমি রাতে স্থানীয় মেম্বার সাহেবের বাড়িতে গিয়ে থাকি। সেখান থেকে সকালে আমাকে বের করে দেওয়া হয়। পরে আমি আবারও তাদের বাড়িতে গিয়ে উঠি। সেখান থেকেও তারা আমাকে জোড় করে বের করে দেন। তারা চাচ্ছেন, আমি এখান থেকে চলে যাই। আমি স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে এখানে আত্মহত্যা করব।’
এ ব্যাপারে জানতে ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলতে তাদের বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা বলেন, ‘আমার ছেলে তাকে বিয়ে করেনি। যদি বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারে, তবে আমরা তাকে বউ হিসেবে মেনে নেব।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সোবহান বলেন, ‘আমি তাদের মিলিয়ে দিতে অনেক চেষ্টা করেছি। তবে ওই যুবক ও তার বাবা বাড়িতে না থাকায় কোনো ফায়সালা করা যাচ্ছে না।’
পাকুন্দিয়া থানার এসআই মো. মেনহাজ উদ্দীন বলেন, ‘খবর পেয়ে গত রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে ওই নারীকে ওই যুবকের ঘরে রেখে এসেছি। বাড়িতে ওই যুবকের মা ছাড়া অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি।’
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই নারী স্বামী পরিত্যাক্তা। এ ছাড়া বয়স বেশি হওয়ায় ওই যুবকের পরিবারের কেউ তাকে মেনে নিতে রাজি হচ্ছেন না। উৎস: কালের কণ্ঠ।
আপনার মতামত লিখুন :