শিরোনাম
◈ ইমরান খান মুক্তি না পেলে ডি-চক ছাড়বেন না বুশরা বিবি, ‘ডি-চক’ আসলে কী? ◈ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ইস্যু, ভারতে বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ◈ রাষ্ট্রদূত হলেন সদ্য সাবেক আইজিপি ময়নুল ◈ চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলো ভারত সরকার ◈ ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ, এবার হেরে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ◈ বাংলাদেশ- আয়ারল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে বুধবার, আধুনিকতার ছোঁয়ায় উন্মোচিত হলো ট্রফি ◈ অনেকেই মনে করছেন ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক দূরত্বের কারণে আইপিএল নিলামে উপেক্ষিত বাংলাদেশিরা ◈ আলিফকে দলীয় কর্মী দাবি করে জামায়াত আমিরের নিন্দা, সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান ◈ দেশের বাজারে আবারও ভরিতে সোনার দাম কমল ২৮২৩ টাকা

প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:০৪ রাত
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই সন্তানের লাশ পড়ে ছিল বিছানায় , ফ্যানে ঝুলছিলেন স্বামী

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক বাড়ি থেকে স্বামী, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভৈরব রানীর বাজার এলাকার শাহজাহান মিয়া নামের এক ব্যক্তির ছয় তলা বিল্ডিংয়ের ছয় তলার বাসা থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর মধ্যে স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায়, স্ত্রীর গলাকাটা ও তাদের দুই শিশু সন্তানের লাশ বিছানায় পাওয়া যায়। পৌর শহরের রাণীর বাজার শাহী মসজিদের পেছনে শাহজাহান মিয়ার বিল্ডিংয়ের ৬ তলা ভবনের ৬ষ্ঠ তলার একটি রুমে সাবলেট থাকত পরিবারটি।

নিহতরা হলেন—নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আনোয়ারাবাদ এলাকার মৃত গৌরাঙ্গ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে জনি চন্দ্র বিশ্বাস (৩০), স্ত্রী নিপা রানী বিশ্বাস (২৬) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তাদের দুই সন্তান কথা বিশ্বাস (৪) ও দ্রুব বিশ্বাস (৮)।

মৃত জনির বড় ভাই সমীর চন্দ্র বিশ্বাস জানান, জনি বিশ্বাস ১০–১২ বছর যাবৎ ভৈরবে বাস করেন। তিনি একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে। সেখান থেকে ফেরেন সন্ধ্যা নাগাদ। এরপর ভাইয়ের সঙ্গে আর কথা হয়নি।  


বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এই ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা ফোন করে তাঁকে জানান, সকাল থেকে ওই কক্ষের দরজা বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে তিনি এসে এই মর্মান্তিক ঘটনা জানেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।

নিহত জনি চন্দ্র বিশ্বাসের মা শিখা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘গতকাল আমাদের বাড়িতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে হাসি খুশিভাবে ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ফোনে খবর পেলাম, আমার ছেলে মারা গেছে। এখন এসে দেখি আমার ছেলেসহ পুরো পরিবারই শেষ হয়ে গেছে।’

শিখা রাণী বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আট বছর আগে ছেলেকে বিয়ে করাই। বিয়ের পর থেকে বউয়ের সঙ্গে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। দুদিন আগে ছেলে তার বউকে নিয়ে থেকে এসেছে। ছেলে আমাকে ভয় পায় বলে কিছুই জানাত না। ছোট নাতনির মুখে শুনতে পেয়েছিলাম। ছেলের বউ ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কী কারণে ছেলে এ কাণ্ড ঘটাল আমার বুঝে আসছে না।’

ভবনের মালিক শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, ‘তিন মাস হলো আমার বিল্ডিংয়ের ৬ষ্ঠ তলার একটি ফ্ল্যাটে দুই সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী ভাড়ায় থাকতেন। বিকেলে ভবনের এক ভাড়াটিয়া ফোনে জানান, তাদের রুমের দরজা খুলছে না। পরে লোকজন মিলে রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে তাদের মরদেহ দেখতে পাই।’

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া জানান, বিকেলে স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে দরজা ভেঙে জনি বিশ্বাসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিছানায় তাঁর স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয় স্ত্রীকে। এ ছাড়া বিছানায় শোয়া অবস্থায় দুই সন্তানের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে-স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করেই আত্মহত্যা করেছে জনি বিশ্বাস। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়