শিরোনাম
◈ আজও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রিকশাচালকরা ◈ সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কেন আলোচনায়, এর সুবিধা-অসুবিধা কী? ◈ আওয়ামী লীগের দুই সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন ◈ বিশ্বকাপ বাছাই, ৭ রানে অলআউট আইভরি কোস্ট, জিতলো নাইজেরিয়া ◈ ফলো অন এড়ালেও ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশের ◈ পাকিস্তানের সম্মতি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ম্যাচ হবে দুবাইয়ে, পিসিবি পাবে ক্ষতিপূরণ ◈ যখন বিদেশি ক্রিকেটাররা আমার প্রশংসা করে তখন খুবই ভালো লাগে: মারুফা আক্তার ◈ জাবি অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালক আটক ◈ আমিরাতে ইসরাইলি নাগরিক খুনের ঘটনায় তিনজন গ্রেফতার ◈ খালেদা জিয়াকে নিয়ে অধ্যাপকের লেখা শেয়ার করলেন আইন উপদেষ্টা, কী আছে তাতে?

প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:০৫ দুপুর
আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিগগিরই শুরু হচ্ছে  পাউবো'র টেকসই প্রতিরক্ষাবাঁধের কাজ 

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম : দক্ষিণ চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপকূল ভাঙন প্রতিরোধে নেয়া পাউবো'র টেকসই প্রকল্পগুলোর কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। বিশেষ করে সাগর উপকূল এবং নদীর তীরবর্তী আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদণ্ডি ও রাযপুর ইউনিয়নের সাগর উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলো ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে এসব এলাকার কয়েক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি, শত শত একর ফসলের মাঠ ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়া রাস্তাঘাট হাট-বাজার স্কুল-মাদরাসা মসজিদসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লণ্ডভণ্ড হয় দক্ষিণ চট্টগ্রাম। এতে হাজার হাজার একর বসতবাড়ি বিধ্বস্ত ও প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। এ ছাড়া শত শত কিলোমিটার রাস্তাঘাট, সড়ক সেতু কালভার্ট বিনষ্ট হয়, হাজার হাজার একর ফসলের জমি নদী ও সাগরের গর্ভে বিলীন হয়। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন সময়ে নদী ও সাগর উপকূল প্রতিরক্ষা কয়েক শত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে।পানি উন্নয়ন বোর্ড আনোয়ারা,উপজেলার বিস্তীর্ণ নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সাগর উপকূল সুরক্ষায় বিভিন্ন সময়ে প্রটেক্টিভ ওয়ার্ক ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে।

সাগর ও নদীর সিংহভাগ এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হওয়ায় কয়েক লাখ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড আনোয়ারার অবশিষ্ট অরক্ষিত অংশ সুরক্ষায় প্রকল্পের কাজ দ্রুত সময়ে শুরু হচ্ছে। রায়পুর সমুদ্র তীরপ্রতিরক্ষা ২৭৭৫ কিলোমিটার, রায়পুর ১২০০ কিলোমিটার উপকূল বাঁধ ও পুনরাকৃতিকরন।জইন্দডী ১২০০ কিলোমিটার ঢাল সংরক্ষণ। আনোয়ারা অংশে প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৬৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটির (প্রথম পর্যায়) সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। পাউবোর আট সদস্যের সমীক্ষা কমিটি প্রকল্পটির গুরুত্ব তুলে ধরে নতুন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও পুরনো বাঁধ সংস্কারের জন্য সুপারিশ করে। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পিইসি সভায় প্রকল্পের ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়। 

জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড চলমান কাজের সাথে সঙ্গতি রেখে বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলার অবশিষ্ট অরক্ষিত অংশ সুরক্ষায় ৮৭৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা,চলতি বছরের ২৮ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বরাদ্দ অনুমোদন দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাঁশখালীর রায়পুর ও জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের খানখানাবাদ, বাহারছড়া, ছনুয়া, সাধনপুরে প্রকল্পটির কাজ করা হবে।চলতি বছর জুনে শুরু হয়ে ২০২৭ সালের জুনে প্রকল্পটি শেষ করার কথা রয়েছে।জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড চলমান কাজের সাথে সঙ্গতি রেখে  আনোয়ারা উপজেলার সমুদ্রর অবশিষ্ট অরক্ষিত অংশ সুরক্ষায়।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে,চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সহীদ বলেন,আমরা চলমান কাজের সাথে সঙ্গতি রেখে নদী-সাগর উপকূল ও তীর এবং অভ্যন্তরীণ খাল-নদীর ভাঙন ঠেকাতে (আনোয়ারার রায়পুর ও জুইদণ্ডির অংশসহ) নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। আনোয়ারা উপজেলার নদী ও সাগরতীর সুরক্ষায় গৃহীত প্রকল্পের কাজ খুব দ্রুত শুরু হচ্ছে।আনোয়ারাতে নতুন বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটির প্যাকেজ সংখ্যা ৮টি, এ মাসে ৪টি দরপত্র মূল্যায়ন করা হচ্ছে।বাকিগুলোও দাপে দাপে মূল্যায়ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন,বাঁধ নির্মাণকাজ শুষ্ক বা শীত মৌসুমে করা হয়।বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উপকূলে বাঁধ নির্মাণকাজ করা সম্ভব হয় না।শুষ্ক মৌসুমে ছয়-সাত মাস বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারে কাজ করা যায়। 

প্রকল্পের অর্থ পাওয়া নিয়ে কোনো জটিলতা আছে কি না জানতে চাইলে,তিনি বলেন  এ বছরের কিছু অর্থ পাওয়া যাবে। আশা করছি প্রকল্পের যে মেয়াদ রয়েছে, তার মধ্যে শেষ করতে পারবো।আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য।

সৈকতের বিভিন্ন অংশ সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সমুদ্রে ভাটার টানে সৈকতের প্রশস্ততা চোখে পড়ে। তবে বর্ষা মৌসুমে সৈকতের প্রশস্ততা কিছুটা কমে আসে। কিছু কিছু এলাকায় বেড়ি বাঁধের রক্ষায় পাথরের ব্লকগুলো দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য আরও অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে।নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরে রাস্তাঘাট  উন্নত হলে এখানে শিল্পোৎপাদন ব্যবসা বানিজ্য প্রসারিত হয়ে উঠবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়