শিরোনাম
◈ আদালত চত্বরে শাজাহান খান ও সোবহানকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন কর্মীরা ◈ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার সময় বাড়ল ◈ শুরু হয়েছে আইপিএল নিলাম: প্রথম খেলোয়াড়ের দাম উঠল ১৮ কোটি ◈ নতুন নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করলো জাতীয় নাগরিক কমিটি ◈ অন্য কোনো দেশে আশ্রয় না পেলে কী করতে যাচ্ছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী? ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম যা বললেন ব্যাটারিচালিত রিকশা ইস্যুতে ◈ সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা এই জাতিকে একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেব: সিইসি ◈ নয়াদিল্লি ও লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস মিনিস্টার নিয়োগ ◈ বান্দরবানের গহিন জঙ্গলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ সদস্য নিহত ◈ বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনায় আন্তর্জাতিক সংস্থা নিয়োগের সুপারিশ

প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:২৩ দুপুর
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দাগনভূঞায় আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রার ৯০ ভাগই ঘাটতি

এম. এমরান পাটোয়ারী, ফেনী প্রতিনিধি : স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার প্রভাব পড়েছে দাগনভূঞা উপজেলার কৃষিতে। যদিও বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর দেরিতে হলেও জমিতে রোপা আমন চাষ করে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবারের মৌসুমে উপজেলা রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১০ ভাগ পূরণ হয়েছে। উপজেলার ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বন্যার কারণে কেবল ৮০০ হেক্টর - জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, বন্যায় কৃষকদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় থেকে ধানের চারা সংগ্রহ করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে শীতকালীন সবজি বীজ, ধান, সার, কৃষি উপকরণ বিতরণ ও নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

কৃষকরা জানান, বন্যায় জমির ধানগাছ নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ধানের চারা পেয়ে ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বন্যা পরবর্তী কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ধানের চারা বিতরণ করা হয়েছে। স্বল্প মেয়াদী ব্রি ধান ৯৫ জাত রোপনের ১২০ দিন পর ফসল ঘরে তোলা যায়। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ধান কর্তন করা যাবে। মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক মীর আহাম্মদ জানান, প্রতি বছর ২০০ শতাংশ জমিতে আমন ধানের আবাদ করেন তিনি। বন্যার কারণে বেশির ভাগ জমিই খালি রয়েছে। ঘরের খোরাকি কীভাবে মেটাবে সেই চিন্তা তার মাথায়।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, দাগনভূঞা উপজেলায় এবারের ভয়াবহ বন্যায় কৃষি বিভাগের ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ৯৩৪ হেক্টর ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার ১০ হাজার ৩৫৩ জন কৃষক। এরমধ্যে আউশ আবাদ করেছেন ৯২০ জন কৃষক, আমন বীজতলা করেছেন ৭ হাজার ৫৪৩ জন, আমন আবাদ ৬৫০ জন, শরৎকালীন সবজি ১ হাজার ১৮৫ জন, ফলবাগান ৪৫ জন ও আদা চাষ করেছেন ১০ জন কৃষক।

সরেজমিনে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বাতশিরি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা জমি ধানের পরিচর্যা ব্যস্ত সময় পার করছে। বন্যা পরবর্তী ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ করেছে কৃষকরা। কৃষক মহিন উদ্দিন ৩০৬ শতক, একরাম উদ্দিনের ১৩২ শতক, ইদ্রিস ১২০ শতক, আবদুর ছোবহান ৭২ শতক, মীর আহাম্মদ ৬০ শতক, বিবি মরিয়ম ৬০ শতক, আবু ইউছুফ ৬৫ শতক, নূরুল আমীন বাচ্চু ৫৫ শতক জয়নাল আবেদীন ৫০ শতক সানোয়ারা বেগম ৪৮, বিষ্ণু চন্দ্র ভৌমিক ৩৬ শতক ও কালন ৩০ শতক জমিতে ব্রি ধান ৯৫, ৪৯ ও ৮৭ জাতের ধান আবাদ করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়