৫০ হাজার টাকার মাল চুরির অভিযোগে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ ৪৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর নুর বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ / ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও মালামাল চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।’
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে–সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান। এ ছাড়া জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, সাবেক সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম মশাহিদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লালনসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের বেশির ভাগেই আওয়ামী লীগের পদধারী। কেউ কেউ দলের সক্রিয় কর্মী বলেও জানিয়েছেন বাদী।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বিভাগীয় শহর সিলেট থেকে জগন্নাথপুর উপজেলায় আসার প্রবেশ পথেই মিরপুর বাজার। এখানকার মানুষ রাজনৈতিক সচেতন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিস রয়েছে এই বাজারে।
গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বেশির ভাগেই গা ডাকা দিয়েছেন। এরপরেও ইউনিয়নের কিছু সংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতা রেজাউল করিম রিজু, আব্দুল কাইয়ুম মশাহিদ, আবুল হোসেন লালন, বাবুল, আব্দুল আহাদ দোলন. মহিউদ্দিন সেলিম, সাজ্জাদ খান ও ফজলুল হকসহ অনেকে প্রতিদিন বাজারে বসেন।
এরা আমাকে এবং আমার দলের নেতা কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বাজারে মধ্যে মধ্যে ছোট খাটো ঝটিকা মিছিলও করে তারা। সম্প্রতি বিভিন্ন দোকানে বসে মিরপুর বিএনপি কার্যালয় জ্বালিয়ে দেওয়ার পরামর্শ করেন তারা। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ১৭ নভেম্বর রাতে বিএনপি অফিস এবং আমার ব্যক্তিগত কার্যালয় পুড়িয়ে দেয় তারা।
এর আগে অফিস থেকে ৫০ হাজার টাকা মালামাল চুরি করে নেওয়ার অভিযোগ করেন মামলার বাদী ওই বিএনপি নেতা। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করা হয়।
জানতে চাইলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এটি একটি সাজানো মিথ্যা মামলা। বিএনপি নেতারা নিজেরা অগ্নিসংযোগ করে আমাদের নেতা কর্মীদের হয়রানি করে রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে।’
এদিকে মামলার ১ নম্বর সাক্ষী মিরপুর বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিক উদ্দিন তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, ‘মামলা দায়ের সম্পর্কে আমার জানা নেই। আমাকে না জানিয়ে উক্ত মামলায় সাক্ষী করায় আমি রীতিমতো অবাক হয়েছে। এতে আমাকে ভুল বুঝে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি।’ সূত্র : আজকের পত্রিকা
আপনার মতামত লিখুন :