মো. রায়হান আবিদ,বাকৃবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের উদ্যোগে গাইবান্ধা সদরের ব্রহ্মপুত্র চর এলাকায় প্রায় অর্ধশত কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে গাজর-টমেটোর বীজ ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
গাজর ও টমেটো গবেষণার প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ এর পরিচালনায় এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা. মো সাদিকুল ইসলামসহ বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তরের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় কৃষকরা জানায়, গাজর ও টমেটো চর এলাকায় একটি নতুন ফসল। আজকের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই ফসল দুটি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। চারা ও বীজ বিতরণের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে ধন্যবাদ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রত্যন্ত চর এলাকায় খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে এমন প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া আগামীতে চর এলাকায় গাজর-টমেটোর মতো ফসল উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। গাজর ও টমেটো গবেষণার প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘প্রতিকূল পরিবেশ, বিশেষ করে খরা বর্তমানে বাংলাদেশের একটি উদীয়মান হুমকি যা গাজর ও টমেটোর উৎপাদনশীলতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। বর্তমান বাজারে গাজর ও টমেটোর চাহিদা বৃদ্ধির তুলনায় কম প্রাপ্যতার কারণে দৈনন্দিন খাবারের পুষ্টিমানে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এর ঘাটতি থেকে যায়।
সুতরাং, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য চর এলাকার মতো প্রতিকূল পরিবেশে পুষ্টি-সমৃদ্ধ রঙিন গাজর ও টমেটোর উন্নয়ন ও প্রসারণই এই প্রকল্পের সামগ্রিক লক্ষ্য। এর ফলে খুব অল্প খরচেই কৃষকরা গাজর ও টমেটো চাষ করার পাশাপাশি পরিবারের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারবে। ’ তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রঙের ৪০টি গাজরের জার্মপ্লাজম ও ২০টি টমেটোর জার্মপ্লাজম নিয়ে গবেষণা চলছে
আপনার মতামত লিখুন :