মোশায়ারা আক্তার জলি, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার দাউদকান্দিতে স্ত্রী শামীমা আক্তারকে (২৫)কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী মো.মাসুদ ওরফে মাসুমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১০টায় উপজেলার গৌরীপুর হাটচান্দিনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।ঘটনার পর ঘাতক স্বামী মাসুদ(মাসুম) পলাতক রয়েছে।
নিহত শামীমা আক্তার হাট চান্দিনা গ্রামের আরিফ হোসেনের মেয়ে এবং একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাওরা বাড়ি গ্রামের মো. মাসুদ (মাসুমের) স্ত্রী। তার তিন বছরের একটি মেয়ে এবং চার মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহত শামীমার বোন তাসলিমা বলেন,তার স্বামী মো. মাসুদ (মাসুম) ৪/৫ জনকে নিয়ে শামীমাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মাসুদ ও তার বন্ধুরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। চার বছর আগে আমার বোনের সঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই মামলার প্রধান আসামি মাসুদ আমার বোন শামীমাকে বিয়ে করেন। এরপর মাসুদ ও তার বন্ধুরা গণধর্ষণে মামলা থেকে রেহাই পায়। বিয়ের পর মাসুদ তার বন্ধুদের নিয়ে মাদক সেবন এবং বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদ করলে আমার বোনের ওপর নির্যাতন শুরু করে মাসুদ।আমার ভগ্নিপতি মাসুদ তার বন্ধু সেলিমকে দিয়ে আমাদের নামে একাধিক মামলা করায়। সেলিম একই বাড়ির হওয়ায় এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো।
নিহতের বোন আরো জানান,মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রে সেলিম ও তার বোন সাথী সহ কয়েকজনের নামে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছিলাম। বাড়িতে আসার পর কেন পুলিশের কাছে মাসুদের বন্ধুদের নামে অভিযোগ দিতে গিয়েছি এ জন্য মাসুদ তার বন্ধুদের নিয়ে আমার বোনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
উপজেলার গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন,গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শামীমার বড় বোন ও মাসহ আরও কয়েকজন পুলিশ ফাঁড়িতে আসে। তারা সেলিম ও সেলিমের বোনসহ কয়েকজনের নামে মৌখিক অভিযোগ দেয়। লিখিত অভিযোগ দিতে বললে পরে এসে দিবে একথা বলে তারা চলে যায়। এরপর রাতেই শুনি শামীমকাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বলেন,লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
আপনার মতামত লিখুন :