শিরোনাম
◈ মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের খরচ ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা ◈ বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ভারতের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ভারতের উত্তর প্রদেশে ৫১৩ মাদ্রাসা বন্ধ ◈ স্ত্রীকে খুন করে গাড়ির ডিকিতে ভরে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে ফেলে এলো স্বামী ◈ ফরিদপুরে দেড়শো পরিবার বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে ◈ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যে বার্তা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ (ভিডিও) ◈ ‌‘রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান থাকছে না ট্রাইব্যুনালে’ ◈ দীর্ঘ ১২ বছর পর সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া ◈ নারী ফুটবলারদের হাতে ২০ লাখ টাকা তুলে দিলো বিসিবি ◈ এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুবলীগ কর্মীর মামলা

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:০৪ বিকাল
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহাদেবপুরে চলছে সরকারি বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব

লিয়াকত আলী বাবলু,  মহাদেবপুর প্রতিনিধি : মহাদেবপুরে সরকারি বৃক্ষ নিধনে মহোৎসব অব্যাহত, বন বিভাগ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্মকান্ডে সম্মুখগতি, হতাশ ক্ষুব্ধ বৃক্ষপ্রেমীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের বিভিন্ন পাকা সড়ক ও খাড়ির ধারে বন বিভাগের রোপনকৃত গাছ দুবৃত্তরা প্রতিনিয়ত কেটে সাবার করছে। 

বৃক্ষ নিধন অব্যাহত থাকায় বৃক্ষপ্রেমীরা বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় একাধিকবার অনুরোধ করলে তার টনক নড়ে। ফলে, গত ৬ নভেম্বর মহাদেবপুর উপজেলাবন কর্মকর্তা মো: ময়েন উদ্দীন রাইগাঁ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এলাকার বাদ কুড়াইল গ্রামের জনৈক আজগর আলীর ছেলে মো: শহিদুল ইসলাম (৫০) এর ডোবার পাশ থেকে পাচারকৃত কিছু পরিমাণ গাছের গুল ও খড়ি উদ্ধার করেন। রহস্য জনক কারণে বন কর্মকর্তা দুবৃত্তদের আইনগত ব্যবস্থা নিতে গরিমশি করলে এলাকাবাসী বিষয়টি সাংবাদিকদের জানায়। সংবাদকর্মীরা তৎপর হলে উল্লেখিত বন কর্মকর্তা মহাদেবপুর থানায় ১১ নভেম্বর ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযুক্তরা হলো বাদ কুড়াইল গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে আবুল কালাম (৫২), কুড়াইল গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো: হারন (৪৮), একই গ্রামের নিবাসের ছেলে সুইট, সনজিতের ছেলে আনন্দ কুমার (২৭) ও তার ভাই বিষন (২৩), কুড়াইল গ্রামের বেলালের ভাগিনা পিতা অজ্ঞাত রিপন (২৫), আবু বক্করের ছেলে মো: হাবিবুর রহমান (২৮), এবং ওই গ্রামেরই নূর মোহাম্মদের ছেলে আলতাব হোসেন (৪৭)। উল্লেখিত ইউনিয়নের যে সকল এলাকায় হরহামেশায় দুবৃত্তরা বৃক্ষ নিধন করছে তার মধ্যে কৃষ্ণপুর ভূঁইয়াপাড়া মোড় থেকে কুড়াইল স্কুল পর্যন্ত পাকা সড়ক, মহাদেবপুর-মাতাজী পাকা সড়কের রঘুনাথপুর নামক স্থান, মাতাজী-ধামইরহাট পাকা সড়কের বিরমগ্রাম এলাকা, কানচকুড়ি-কুন্দনা পাকা সড়ক, বটতলী-কালনা পাকা সড়ক, মাতাজাী-রহট্টা পাকা সড়ক এবং মাতাজী-কৃষ্ণপুর পাকা সড়ক  উল্লেখযোগ্য। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃক্ষ নিধনের সাথে যে সকল দুবৃত্ত জড়িত তাদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হাসমত আলী মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। তিনি আরো বলেন, গত অক্টোবর মাসে ১১ জন মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনেছেন এবং ১৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। বন বিভাগের কর্মকর্তা বৃক্ষ নিধনের সাথে জড়িত দুবৃত্তদের ব্যাপারে সময় মত আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় বৃক্ষপ্রেমী
সচেতনমহল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়