জিয়াবুল হক, টেকনাফ : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে জের ধরে, ফোন করে ডেকে এনে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত পরিবারের দাবি উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাহেদসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। নিহত যুবক হচ্ছে- টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুস সালামের পুত্র আব্দুর রহমান (৩০)।
জানা যায়, রোববার (১৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে নিহত যুবককে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসার পর গুলি করে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়া এলাকার বদি আলম নামে এক ব্যক্তির সাথে নিহত আব্দুর রহমান প্রথমে ঠাট্টা-মশকারা এরপর কথা কাটাকাটি ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে নিহত যুবক বাড়িতে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আব্দুর রহমানকে ফোন করে পুনরায় ডেকে এনে সন্ত্রাসী জাহেদ ও তার সহযোগী অপরাধীরা প্রথমে গুলি করে এবং দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিহত আব্দুর রহমানের বোন নুর ফাতেমা স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, আমার ভাইকে তারা ফোন করে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মর্মান্তিক ভাবে গুলি এবং কুপিয়ে হত্যা করেছে। বোনের অভিযোগ উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অপরাধীরা হচ্ছে- স্থানীয় আজগর আলীর পুত্র জাকারিয়া, অলী আহমদের পুত্র জাহেদ হোসেন, চৌকিদার নজির আহমদের পুত্র বদি আলম, সাদ্দাম, তারেক ও তার সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সংঘটিত ঘটনার খবরটি শুনার সাথে সাথে হোয়াইক্যং পূলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এরপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরি করার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :