বরগুনার তালতলীতে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে নিজ ঘরে দেখে লজ্জায় সবুজ চাপরাসি (৩২) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন পরিবার। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধা ৭ টার দিকে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মটখোলা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত সবুজ চাপরাসি একই এলাকার আহম্মদী চাপরাসির ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সবুজের সঙ্গে ৬ বছর পূর্বে রাবেয়া বেগমের (৩০) বিবাহ হয়। তাদের পরিবারে ৫ বছরের একটি পুত্র ও ২ বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে। সবুজ ঢাকায় থেকে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী রাবেয়া বেগম থাকার সুযোগে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অজ্ঞাত ব্যক্তি বিভিন্ন সময় গোপনে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। কিছু দিন আগে সবুজ বাড়িতে আসেন।
পরকীয়ার সূত্র ধরে গত শুক্রবার রাতে সবুজ বাজারে গেলে এই সুযোগে স্ত্রী তার প্রেমিককে বাড়িতে আসতে বলেন। তবে সবুজ সন্ধায় হঠাৎ বাড়িতে এসে সামনের দরজায় নক করলে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেন সবুজ। পরে স্ত্রীর বাবার বাড়ির লোকজনকে খবর দেয় ও স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠকে স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেনি ও তার বাবার বাড়ির লোকজন আজেবাজে কথা বলার কারণে সবুজ লজ্জায় গ্যাস ট্যাবলেট খায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তালতলী হাসপালে নেয়। পরে উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিলে সবুজের মৃত্যু হয়।
নিহত সবুজের ভাই নাসির চাপরাসি বলেন, আমার ভাই তার স্ত্রীকে অজ্ঞাত পরকীয়া প্রেমিকের সাথে দেখে ফেলেন। এ কষ্ট সহ্য না করতে পেরে তিনি বাড়িতে এসে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই। নিহতের স্ত্রী বাবেয়া এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি নায়।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল খান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উৎস: দেশ রুপান্তর।
আপনার মতামত লিখুন :