স্বামীর পরকীয়ায় বাধা হওয়ায় চলছিল অত্যাচার-নির্যাতন। আর তা সইতে না পেরেই দু’সন্তানসহ মৃত্যুকে বেছে নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরার গৃহবধূ শারমীন আক্তার। গত ১৩ই নভেম্বর সকালে স্বামীগৃহে ২ সন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজে বিষপান করেন। এরপর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর একে একে মৃত্যু হয় মা এবং দুই শিশুর।
ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায় স্বামী আশরাফ ও তার পরিবারের লোকজন। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামের আশরাফ আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় বিজয়নগর উপজেলার কদু মিয়ার মেয়ে শারমীন আক্তারের। বিয়ের পর বেশিদিন সুখ স্থায়ী হয়নি শারমীনের।
স্বামী আশরাফ তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এতে বাধা হওয়ায় শারমীনের সংসারে নেমে আসে অশান্তি। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে একপর্যায়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন শারমীন। এরপর আর নির্যাতন করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নেন আশরাফ। তারপরও নানা কারণে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চলতে থাকে শারমীনের ওপর। শেষমেশ গত ১৩ই নভেম্বর বিষপান করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন শারমীন আক্তার (২৪)।
এরআগে দুই মেয়ে রওজা (৫) ও নওরিন (৩)কে বিষ খাইয়ে দেন তিনি। পর নিজে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। স্বামী আশরাফ গ্যাসফিল্ডে অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। শারমীনের পিতা কদু মিয়া জানান-বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ে অশান্তিতে ছিল।
স্বামী তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে তাকে নির্যাতন করতো। যৌতুক চাইতো, এটাওটা চাইতো। না পেলেই নির্যাতন করতো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন জানান- এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। কি কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কেউ আটক হয়নি। উৎস: মানবজমিন।
আপনার মতামত লিখুন :