ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার তিন দিন পর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানের ‘ঝুলন্ত’ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নাম মো. সাইদুর রহমান (৪৫)। তিনি উপজেলার পুটিজানা ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। সাইদুর রহমান ওই ইউনিয়নের দাওসা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত আব্দুস সোবাহানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়াটে হিসেবে এক বছর ধরে বসবাস করছিলেন সাইদুর রহমান। গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেতার পর প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পারিবারিক কলহের জেরে গত বুধবার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। পরে দ্বিতীয় স্ত্রী বাসা ছেড়ে চলে যান। বৃহস্পতিবার থেকে ভবনের অন্য বাসিন্দারা ইউপি চেয়ারম্যানকে বাসা থেকে বের হতে দেখেননি। আজ সকালে ভবনের অন্য বাসিন্দারা ডাকাডাকি করলেও ভেতরে দরজা বন্ধ থাকায় কেউ সাড়া দিচ্ছিলেন না। পরে চেয়ারম্যানের স্বজনেরা এসে মিস্ত্রি ডেকে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ‘ঝুলন্ত’ অবস্থায় পান। খবর পেয়ে দুপুরের পর পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান বলেন, পারিবারিক কলহের জন্য ওই ইউপি চেয়ারম্যান ‘আত্মহত্যা’ করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুই দিন আগে তিনি মারা গেছেন। কারণ মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হচ্ছে। উৎস: প্রথম আলো।