শিরোনাম
◈ বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে মালদ্বীপকে হারালো বাংলাদেশ ◈ দলের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনতে দিবস ভিত্তিক কর্মসূচির চিন্তা আওয়ামী লীগের ◈ পাকিস্তান বিভক্তি আমরা যেমন চাইনি, শেখ মুজিব ও চাননি: জামায়াতের আমির (ভিডিও) ◈ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদের মর্যাদা নিয়ে যা বললেন ◈ জানা গেল কি এসেছিল পাকিস্তান থেকে আসা সেই জাহাজে  ◈ অন্তর্বর্তী সরকারকে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ অক্সফোর্ডে ‘স্বাধীন কাশ্মীর রাষ্ট্র’ নিয়ে বিতর্কসভা ◈ পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : আইজিপি ◈ ‘তিন শূন্যের’ ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান ড. ইউনূসের ◈ "বিশ্ব কিংবা রাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশের ২০২৪ এর বন্যা মোকাবিলা করেছে তরুণ সমাজ"

প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:০৯ রাত
আপডেট : ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশু মুনতাহা হত্যা, যা জানা গেল আদালত থেকে 

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) চার আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। পরে চার আসামিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, মুনতাহা হত্যা মামলার চার আসামি কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী আলিফজান (৫৫), তাদের মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫) এবং একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)-কে পুলিশ ১১ নভেম্বর আদালতে প্রেরণ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত সে সময় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে পুলিশ আসামিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান অভিযুক্ত মার্জিয়া নিজের দোষ স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিবে বলে পুলিশকে জানায়। তাই রিমান্ডের পাঁচদিন শেষে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চার আসামিকে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি মার্জিয়া।

সিলেট জেলা জজ আদালতের ইন্সপেক্টর মো. জমসেদ আহমদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রয়োজন মনে করলে পুলিশ আবার তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে।

গত ৩ নভেম্বর সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। ঘটনার দিনই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পাশের ডোবায় পুতে রাখেন খুনিরা। সন্দেহ থেকে শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে গৃহশিক্ষক মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়।

পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ মুনতাহার স্বজনদের বলেন মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না, খোঁজ নিতে। স্থানীয়রা রোববার রাতভর তার বাড়ির আশেপাশে কোথাও মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না, খুঁজতে থাকেন। ফজরের আজানের আগমুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধাকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্ঠা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান। এরপর শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, শিক্ষিকার মা ও তার নানি কুতুবজান বিবিকে আটক করে পুলিশ। উৎস: আরটিভি অনলাইন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়