শিরোনাম
◈ কাকরাইলে বড় জমায়েতে সাদপন্থিদের জুমা আদায়   ◈ বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালি, ইসরায়েলে হোঁচট খেলো ফ্রান্স ◈ বিশ্বকাপ বাছাই, ১০ জনের ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ড্র করলো ব্রাজিল ◈ বিশ্বকাপ বাছাই, আর্জেন্টিনা হেরে গেলো প্যাগুয়ের কাছে ◈ জাতীয় দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা মোহাম্মদ আশরাফুলের ◈ মোহাম্মদ সালাহ চলতি মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে  সব শিরোপা জিততে চান  ◈ ফুটবলে ভিএআরের জায়গায় আসছে এফভিএস ◈ পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি নৌ বাণিজ্য শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন ভারত ◈ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ‘মবের মুল্লুক’: সামিনা লুৎফা ◈ ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে বিএনপি–জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মী আহত

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:৫৭ সকাল
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডেঙ্গু মশা নিধনে নতুন ওষুধ ব্যবহার করছে চসিক

অনুজ দেব বাপু, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ডেঙ্গু মশার লার্ভা ধ্বংস করতে আমরা একটি নতুন ওষুধ বের করেছি রিসার্চ প্রোডাক্ট। সেটা হচ্ছে মসকুবান সলিউশান। সেটা আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দিচ্ছি, এডিস মশার লার্ভাসহ অন্যান্য লার্ভা ধ্বংস করার জন্য।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর চকবাজার সিটি করপোরেশনের কাঁচা বাজারে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি আরও রিসার্চ প্রোডাক্ট বিশ্বের উন্নত দেশে খোঁজ নিচ্ছি। আরও একটি রিসার্চ প্রোডাক্ট আমরা পেয়েছি। সেটাও আমি আনতে বলেছি। এরপর আমরা দুটির গুণগত মান দেখবো কোনটায় মশা বেশি মারা যাচ্ছে। একই স্প্রে যখন আপনি মারতে থাকবেন তখন মশা সেটায় অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এ মশা আর মারা যাবে না। কাজেই নতুন নতুন কিছু উদ্ভাবন আমাদের তিন-চার বছর পরপর করতে হবে। এটাতেই ফল পাওয়া যাবে।

মেয়র বলেন, এখন ডেঙ্গুর মৌসুম চলছে। ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রামে আমরা দেখতে পাচ্ছি গত তিন-চারদিনে মৃত্যুর হার শুন্য। আমরা ডেঙ্গুর পাশাপাশি জনসচেতনার পাশাপাশি চিকুনগুনিয়াসহ অন্যন্য মশাবাহিত যেসকল রোগ আছে সেগুলোর জন্য আমরা স্প্রে দিচ্ছি এবং স্প্রে ঠিকমতো দিচ্ছে কিনা তা তদারকি করছি। এছাড়া জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করছি। ডেঙ্গুর জন্য প্রথম দিন থেকেই একটি ম্যানেজমেন্ট ও সেল সেন্টার খোলা হয়েছে। সেখানে ডেঙ্গুর যে টেস্ট এনএস-১ এন্টিজেন্ট বিনামূল্যে আমরা করে দিচ্ছি। আমরা সেখানে ১০টি বেড রেখেছি। যে কোনো সময় মুর্মূর্ষ রোগী সেখানে চিকিৎসা নিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, গত সরকারের আমলে প্রত্যেক কাউন্সিলর প্রতিটি ওয়ার্ডে ৬০, ৭০, ৮০, ৯০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী রেখেছে। তারা ঠিকমত জনগণের কাজ করছে কিনা সেটা সরাসরি তাদের কাছ থেকে জানার জন্য আমি হাজিরা নিচ্ছি। আমি জনগণকে জিজ্ঞেস করছি তাদের দেখা গিয়েছিল কিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানে। কারণ তাদের কাজটাই হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং ওই জন্য তারা করপোরেশন থেকে টাকা নিচ্ছে। একেকজন প্রায় ১৪-১৬ হাজার টাকা করে টাকা নিচ্ছে কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার যে মূল লক্ষ্য সেটা বাস্তবায়ন করছে কিনা তা দেখার জন্য প্রতিটা ওয়ার্ডে যাচ্ছি। যে জায়গায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আপনাদের সেবা দিচ্ছেন না আমাদের জানাবেন, ব্যবস্থা নেব। ইনশাআল্লাহ জনগণের যেকোনো সেবা দিতে প্রস্তত রয়েছি।  

মেয়র চকবাজার ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হাজিরা নেন এবং স্থানীয়দের কাছে তাদের কাজের পারফরম্যান্স জানতে চান। এরপর মেয়র চকবাজার এবং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সড়কের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর কাছ থেকে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন। এ সময় মেয়র ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে লিফলেট বিতরণ করেন।  

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়