শিরোনাম
◈ অনুশোচনা নেই আওয়ামী লীগে, অপেক্ষা অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হওয়ার ◈ (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার  ◈ ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেম প্রধান উপদেষ্টা ◈ বার বার ফ্যাসিস্ট বলা আমি পছন্দ করি না, কারণ এরাওতো আমাদের পরিবারের সদস্য: লন্ডনে জামায়াতের আমীর ◈ স্থানীয়রা আটক করল সাবেক এমপিকে, এরপর যা ঘটল ◈ মায়ের সঙ্গে যাচ্ছিল শিশুটি, হঠাৎ ভেঙে পড়ল দেয়াল(ভিডিও) ◈ তিন দিনের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসবে ◈ ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শিল্পপতিকে জবাই করেন পরকীয়া প্রেমিকা রুমা: পুলিশ (ভিডিও) ◈ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব, এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই: উপদেষ্টা নাহিদ (ভিডিও) ◈ ফ্যাসিবাদের মূল উৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবো :  শহীদ আব্দুল্লাহর জানাজায় হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:১৮ রাত
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘তুমি অন্যত্র বিয়ে করে সুখী হও, আমাকেও সুখে থাকতে দাও’

কুমিল্লার তিতাসে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক তরুণীকে ছয় টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয় সাবেক প্রেমিক তারেক মাহমুদ মুন্না। এ ঘটনায় মুন্নাকে আটক করেছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাউছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মুন্না জানান, জান্নাত তার চাচাত বোন। তাদের এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৮ সালে তিনি বিদেশ চলে যান এবং ২০২২ সালে দেশে ফিরলে জান্নাত বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে গ্রামে একাধিক সালিশ বৈঠক হয়। এক মাস পর তিনি আবার বিদেশ চলে যান। তিনি বিদেশ থাকা অবস্থায় জানতে পারেন, জান্নাতের অন্যত্র সম্পর্ক রয়েছে। এটা নিয়ে প্রশ্ন করার পর জান্নাত মুন্নার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

মুন্না বলেন, এক বছর পর ২০২৩ সালে আবার দেশে আসি। আমার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে পরিবার। জান্নাত তখন আমার সঙ্গে এবং আমার পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা করলে বিয়ে না করে আবার বিদেশ চলে যাই। ২০২৪ সালে আবার দেশে আসি এবং অন্যত্র বিয়ে করি। তখন জান্নাত খবর পেয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমাকে সুখে থাকতে দেবে না। মোবাইল ফোনে হুমকি দিতে থাকে আমাকে দেখে নেবে এবং আমার স্ত্রীকে সব জানাবে। তার এমন কথায় আমি হতাশ হয়ে পড়ি। তখন আমার মাথায় আসে আমি জান্নাতকে বিষয়টি বোঝাবো, না হলে মেরে ফেলব।

৫ সেপ্টেম্বর সকালে ফোন দিয়ে জান্নাতকে বলি আমার সঙ্গে দেখা করতে, সে আমাকে বলে গৌরীপুর বাজারে দেখা করবে। বেলা ১১টায় গৌরীপুর বাজারে দেখা করি এবং আমাকে রেখে দেড় ঘণ্টা অন্যত্র চলে যায়। দেড় ঘণ্টা পর আমাকে ফোন দিলে আমরা একসঙ্গে সিএনজি দিয়ে হোমনা চলে যাই, হোমনা ব্রিজে ঘোরাফেরা করি। সন্ধ্যায় সিএনজি দিয়ে আমরা কাঁঠালিয়া গ্রামে যাই। সেখানে একটি ব্রিজে অনেকক্ষণ সময় কাটাই। রাত হয়ে গেলে আমি জান্নাতকে বোঝাতে থাকি, তুমি অন্যত্র বিয়ে করে সুখী হও, আমাকেও সুখে থাকতে দাও। এতে জান্নাত রাজি হয়নি। তখন আমি তার হাতে-পায়ে ধরে বোঝাই, সে আমাকে লাথি মারে।

মুন্না আরও বলেন, একপর্যায়ে আমার ব্যাগে থাকা ডাব কাটার দায়ের উল্টো দিক দিয়ে তার মাথায় বাড়ি দেই। পরে কয়েকটা কোপ দিয়ে মাথা আলাদা করে ফেলি। তারপর দুই হাত, দুই পা কেটে আলাদা করে সব কাটা টুকরোগুলো নদীতে ফেলে দিই। পরে মাটিতে লেগে থাকা রক্ত আমার সঙ্গে থাকা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলি এবং পরনের গেঞ্জি ও সঙ্গে থাকা দা, ব্যাগ নদীতে ফেলে দিই।

এ বিষয়ে জান্নাতের মা ও মামলার বাদী হালিমা বেগমসহ সাগর ফেনা গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ মুন্নার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৫ সেপ্টেম্বর সকালে জান্নাতুল ফেরদৌসকে (২৫) অপহরণ করেন মুন্না। এ ঘটনায় জান্নাতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে মুন্নাসহ সাতজনকে আসামি করে ৯ সেপ্টেম্বর তিতাস থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। উৎস: আরটিভি অনলাইন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়