পাবনার ঈশ্বরদীতে এগ্রিকালচারাল ইম্পর্টেন্ট পারসন (এআইপি) পদকপ্রাপ্ত কৃষাণী নুরুন্নাহার বেগমসহ তার ৩ ছেলে ছোররাগানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মানিকনগর পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- কৃষাণী নুরুন্নাহার বেগম, তার তিন ছেলে রায়হান কবির হিরোক, মিশুক বিশ্বাস ও সিরাজুল ইসলাম মানিক বিশ্বাস।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় যুবদল কর্মী বাপ্পি মালিথা মানিকনগর গ্রামের আলতাফ শাহের মাজারে বার্ষিক ওরশের চাঁদার জন্য নুরুন্নাহার বেগমের বাড়িতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। নুরুন্নাহার ৩ হাজার টাকা দিলে বাপ্পি মালিথা ক্ষিপ্ত হন। তাৎক্ষণিক নুরুন্নাহার বেগমকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নুরুন্নাহারের বড় ছেলে রায়হান কবির হিরোক ইসলামী ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখা থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মানিকনগর মাস্টারপাড়া এলাকায় যুবদল কর্মী আরিফ বাঙালের নেতৃত্বে ১০-১২ জন হিরোকের গতিরোধ করে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধরের পর ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় তার ফোন ও ৫০ হাজার নগদ টাকা ছিনিয় নেন। পরে সন্ত্রাসীরা হিরোকের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
হিরোকের ওপর হামলার খবর পেয়ে নুরুন্নাহারসহ এলাকার মানুষজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী যুবদল কর্মী বাপ্পি মালিথার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এ সময় আরিফ বাঙাল ও বাপ্পি মালিথা নুরুন্নাহার ও তার তিন ছেলের ওপর ছোররা গান দিয়ে গুলিবর্ষণ করেন। এতে নুরুন্নাহারসহ তার তিন ছেলে গুলিবিদ্ধ হন।
কৃষিতে সর্বোচ্চ খেতাব এপিআই পদকসহ বিভিন্ন জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষাণী নুরুন্নাহার বেগম বলেন, চাঁদার দাবিতে আমাকে আর সন্তানদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলা করেছে স্থানীয় যুবদল কর্মী আরিফ বাঙাল ও বাপ্পি মালিথা। আমিসহ ছেলেরা সবাই চিকিৎসাধীন রয়েছি। এ ঘটনায় আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরিফ বাঙাল ও বাপ্পি মালিথার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উৎস: জাগোনিউজ২৪
আপনার মতামত লিখুন :