কিস্তিতে ঘুষ নেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান। ঘুষের টাকা গুনতে গুনতে বলেন, ‘টাকা গুনে নেওয়া সুন্নত’। তার হাত থেকে রক্ষা পায় না সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষও। কেউ ঘুষের টাকা এককালীন পরিশোধ করতে না পারলে কিস্তিতেও পরিশোধ করার ব্যবস্থা আছে তার কাছে। এমন অভিযোগ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থাকার এসআই মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ কারণে তাকে প্রাথমিকভাবে হাজীগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের নামে থানায় অভিযোগ দিতে আসেন হাজীগঞ্জ থানার কংগাইশ গ্রামের এক বাসিন্দা। অভিযোগ দিতে এসে এসআই মাহফুজকে দিতে হয় ঘুষের প্রথম কিস্তি। তারপর ছেলে বউ এবং ছেলে বাবার কাছে ক্ষমা চাইলে পরিবারিক সমস্যা মিটে যায়। তবুও এসআই মাহফুজকে দিতে হয় ঘুষের দ্বিতীয় কিস্তি।
অভিযোগকরীর দাবি, আওয়ামী সরকার পতনের পর অন্য থানার পুলিশ যখন কিছুটা সহনশীল তখন এসআই মাহফুজসহ এই থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের আচরণ উল্টো বেপরোয়া।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে এসআই মাহফুজুর রহমানের কাছে সাংবাদিকরা গেলে ভিডিও দেখে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তিনি দাবি করেন, কৌশলে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুর রকিব বলেন, ‘দুই মাস আগে এসআই মাহফুজকে ডিএমপিতে বদলি করা হলেও হাজীগঞ্জ থানায় থাকার জন্য বদলির আদেশ বাতিলের আবেদন করেন তিনি। তবে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার। ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে তাকে হাজীগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।’ উৎস: ইনডিপেনডেন্ট
আপনার মতামত লিখুন :