ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী ব্যুরো : সাবেক মেয়র (অপসারিত) খায়রুজ্জামান লিটন ও আ’লীগ নেতা ডাবলু সরকারকে রাজশাহীতে হত্যা ও সন্ত্রাসের গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করে অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিনু। এসময় রাজশাহী নগরীর আলুপট্রি মোড়কে বিজয় মোড় হিসেবে ঘোষণা করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে ছিল বলেই হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরীর আলুপট্রি মোড়ে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি নেতা মিনুর নেতৃত্বে এদিন নগরীতে ব্যাপক শোডাউনের আয়োজন করা হয়। এতে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। সমাবেশের আগে নগরীর বাটার মোড় চত্বরে জমায়েত হন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। পরে মিজানুর রহমান মিনুর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলুপট্রি মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং বিভিন্ন ধরণের প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। শোভাযাত্রা ও সমাবেশে নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার ফাঁসি ও বিচার দাবি করে নানা শ্লোগান দেন। সমাবেশে বিএনপি নেতা শফিকুল হক মিলন, আনোয়ার হোসেন উজ্জলসহ ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, মৎস্যজীবী দল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারেক রহমানের ভূমিকা উল্লেখ করে সমাবেশে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে মুক্ত রাজনীতির চর্চা করতে দিতে হবে। অন্যথায় রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারা তাদের নেতাকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর তার এ ঘোষণার মাধ্যমেই দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে জাতি যখন দিশেহারা ছিল। সে সময়ে মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেদিন সারাবিশ্বের মহানায়ক ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। আর এ আন্দোলন যখন কঠিন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়, ঠিক তখনই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুদূর লন্ডনে থেকেও পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে সাহস জুগিয়েছেন। এর ফলে হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
আপনার মতামত লিখুন :