জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে লক্ষ্মীপুরে বণিক সমিতির উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যের বাজার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ বাজারে জনসাধারণ সাধারণ বাজারের চেয়ে অধিকাংশ পণ্য অনেক কম দামে কিনতে পারছেন। ফলে বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে সামনে এ বাজার উদ্বোধনের পর সন্ধ্যার পরে বিক্রি শেষ হয়ে যায়।
বণিক সমিতির ন্যায্য মূল্যের বাজার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল আজিজ, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাভেল, জেলা কৃষি বিপন কর্মকর্তা মনির হোসেন, বণিক সমিতির সদস্য জাকির হোসেন পাটওয়ারী ও ছাত্ররা।
‘ছাত্র জনতা লক্ষ্মীপুর’-এর ব্যানারে বাজারটি পরিচালিত হচ্ছে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই ভোক্তাপর্যায়ে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তাই কম দামে সবকিছু বিক্রি সম্ভব হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। বাজারের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এদিকে বণিক সমিতির ন্যায্যমূল্যের বাজারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
ক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, ৮০ টাকার একটি তাজা লাউ অর্ধেক দামে কিনতে পেরেছি। অন্যান্য সবজির দামও কম। এমন দোকান এলাকায় এলাকায় ছড়িয়ে পরলে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে বলে বিশ্বাস। বাজারটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন ছাত্র জানিয়েছেন, বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে এ বাজার চালু হয়েছে। এর কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা হবে। কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে সবজি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই চাহিদাও রয়েছে অনেক বেশি। কম আয়ের নাগরিকদের সুবিধার জন্য দোকানের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান তারা।
লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আমাদের এই উদ্যােগ। আশা করি এখান থেকে স্থানীয়রা বাজারের চেয়ে কমমূল্যে বাজার করতে পারবে। মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরাইতে আমাদের এই আয়োজন।
এখানে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বরবটি ৭৫ টাকা, টমেটু ১৩০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৩০ টাকা, লাল শাখ ৩০ টাকা, শশা ৩৫ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কেনার ওপর ভিত্তি করে এ দাম উঠা-নামা করবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
উল্লেখ্য, ন্যায্য মূল্যে জেলার প্রায় দশটিরও অধিক জায়গা সবজি ও মাংস বিক্রি করছে শিক্ষার্থীরা। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত মানুষের কাছে ন্যায্য মূল্যে শাকসবজি ও মাংস পৌঁছে দেবেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :