নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সহ-যুব সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক শামসুল আলম খানের কাছে তিনি এই চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, মিঠাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন, বদলগাছী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, কোলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলামসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১২০ জনের নামে বদলগাছী থানায় একটি মামলা হয়।
মামলার বাদী উপজেলা বিএনপির সহ-যুব সম্পাদক বেলাল হোসেন ওরফে সৌখিন। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার গোবরচাপা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কথোপকথনে শোনা যায়-
সৌখিন: হ্যালো, সালামালেকুম। ভাই আমি সৌখিন, চাংলার সৌখিন
শামসুল: হ্যাঁ ভাই, ভালো
সৌখিন: চিনতে পারছেন
শামসুল : হ্যাঁ ভাই পারছি
সৌখিন: আপনি ওই ম্যানকাক (বিএনপি নেতা মানিক) বলে ২ লাখ টাকা দিছেন
শামসুল : না না না ভাই
সৌখিন: ম্যানকা আপনাক বাঁচাতে পারবে?
শামসুল : বাঁচা-মরা এখন আল্লাহর হাতে
সৌখন: আল্লার হাতে ঠিক আছে; কিন্তু আল্লাহ যে আমার হাতে লিখে রাখছে আপনাক। তা আপনি ম্যানকার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাঁচতে পারবেন? আমরা কি ... ফেলাব। ভাগ মিলতেছে না। আমার এই নম্বরে বিকাশ, নগদ সব আছে। আপনি ১ লাখ টাকা এখানে পাঠায়ে দেন। তাইলে আপনি ম্যানকাক টাকা দেবেন মানে আমরা কে? টাকা দিতে হবে।
গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রথমে সুমন হোসেন ও নয়ন হোসেন নামের দুইটি ফেসবুক আইডি থেকে কথোপকথনের এই অডিও পোস্ট দেওয়া হয়। পরে এই অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এ বিষয়ে শামসুল আলম বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়। শুনতেছি মামলায় অভিযুক্ত অন্যদের কাছ থেকেও এভাবে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন বলেন, শামসুল চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথাই হয়নি। যেটা ছড়াচ্ছে এটা সম্পূর্ণ ভুয়া। আমি মামলার বাদী। আমাকে ফাঁসানোর জন্য কেউ কম্পিউটারে এডিট করে ফেসবুকে ছাড়ছে। উৎস: যুগান্তর, ইত্তেফাক ও প্রথম আলো।
আপনার মতামত লিখুন :