হাবিবুর রহমান : [২] নেত্রকোনার পূর্বধলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের চুমকি আক্তার।
[৩] বাবা-মা, ভাই-বোন, পরিবার-পরিজন, পাড়াপড়শি এমনকি সমাজেও ঠাঁই নেই। জীবন ধারণের তাগিদে বাজার থেকে সবজি তোলা, দোকান থেকে ৫-১০ টাকা নেয়া, বিয়ে বাড়িতে নেচে-গেয়ে কিছু টাকা নেয়া- এভাবেই পেট চলে। তাতেও আপত্তি অনেকের।
[৪] অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ৩৮ বছর বয়সী চুমকি আক্তার সেখানেও ছিল নানা বিড়ম্বনা। তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) মানুষ হওয়ায় কেউ বাসা ভাড়া দিতে চাইত না। দিলেও সময়-অসময়ে সমাজের চাপে বের করে দেওয়া হতো। মানুষ হিসেবে কোনো মর্যাদা ছিল না। রাস্তাঘাটে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের পাশাপাশি নানা কটুবাক্য ছুড়ে দিত লোকজন। মানুষের কাছে চেয়ে-চিন্তে খাওয়া সমাজের অবহেলায় এভাবেই দিন কেটেছে চুমকি আক্তারের।
[৫] এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক উদ্যোগে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন চুমকি আক্তার।
সে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মেঘশিমুল গামের একজন বাসিন্দা।
[৬] ঘর পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে চুমকি আক্তার বলেন, আমাকে ঘর ও জমি দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
[৭] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, যাদের মা-বাবাসহ পরিবারের লোকজনও সমাজে স্থান দেননি, সেই তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) মানুষদেরও স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মুজিববর্ষে ঈদ উপহার হিসেবে জমিসহ নিজস্ব ঘরের ব্যবস্থা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[৮] তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে গৃহ হস্তান্তরের পরেও দেশের অবশিষ্ট সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের থাকার জায়গাসহ ঘরের ব্যবস্থা করে দেবেন। এ লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে পূর্বধলা উপজেলায় ৫৩টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ২২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে মোট ৯৫টি ঘর দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও রয়েছেন। সম্পাদনা : জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :