তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা । বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ভালো দাম পাওয়ায় সবজি চায়ে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে ফুলকপি , বাঁধাকপি টমেটো , লাউ সহ হরেক রকমের সবজি । ইতোমধ্যে বাজারে আগাম জাতের বিভিন্ন শীত কালীন সবজি আসতে শুরু করায় সবজির বাজারের উত্তাপ অনেকটাই কমতে শুরু করেছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সবজির আবাদ সফল করতে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। জেলায় শীতকালীন শাক- সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে । এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৭শ ২৫ হেক্টর জমিতে। সাম্প্রতিক বন্যায় সবজির আবাদ কিছুটা ব্যাহত হলেও জেলার বিস্তৃর্ণ কৃষি জমিতে এখন লাউ, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক,পালংশাক, সিম, উচ্ছে করলাসহ নানা জাতের শাকসবজি আবাদে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে জেলার কৃষকরা। বসতবাড়ির আঙ্গিনা সহ অনাবাদী ও পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। এতে জেলায় শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
চাষীরা কুদ্দুস মিয়া জানান, বাজারে লাউ, ঢেরস, মুলা, ফুলকপি ,বেগুন , লালশাক, পালংশাক সহ কিছু আগাম জাতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে । সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই স্থানীয় ভাবে উৎিপাদিত নানা জাতের শাক সবজি বাজারে আসবে । তখন সবজির বাজার দর অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আরেক চাষী রহিছ মিয়া বলেন, এখন আমরা শীতকালীন সবজি চাষ করছি। আমার জমিতে লাউ, মূলা ও টমোটো চাষ করছি। শুরুতে গাছকে ফলনশীল করে তুলে অত্যাধিক পরিশ্রম করতে হয়। তবে বর্তমান বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজি কম থাকায় বেশি হয়েছিল। বর্তমানে শীতকালীন সবজি ইতিমর্ধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই বাজার দর অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপদিত সবজি বিক্রি করে আশানুরূপ লাভবান হবেন কৃষকরা। জেলায় সবজির বাৎসরিকউৎপাদন ২ লাখ ৬৪ হাজার ২১ মেঃ টন। জনসংখ্যা অনুপাতে মোট চাহিদা ৩ লাখ ৭ হাজার ৩৮৪ মেঃ মেঃ টন। সবজির আবাদ সফল হওয়ার জন্য কৃষকদের বীজ থেকে শুরু করে সার্বিক পরিচর্যার বিষয়টি মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি আমরা।
আপনার মতামত লিখুন :