লিয়াকত আলী, মহাদেবপুর, নওগাঁ : অধিক লাভের আশায় ভারতের কেরালা জাতের সীম চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মাথায় হাত উঠেছে মহাদেবপুরের কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুর রশিদের। লোকসানের মুখে পড়ে হায়-হুতাস করছেন ওই কৃষক।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ ফেসবুকে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে ৩ বিঘা জমিতে কেরালা সীম চাষের উদ্যোগ নেন। বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে যোগাযোগ করে ফরিদপুর থেকে উচ্চ মূল্যে এই সীমের বীজ সংগ্রহ করেন তিনি। গত ৬ মাস ধরে ৩ বিঘা জমিতে সীম চাষে ব্যাপক পরিশ্রম ও অর্থ বিনিয়োগ করেও নিস্ব হয়েছেন এই কৃষক।
কেরালা সারফান- ১৬, ২৭ ও ৩১ জাতের সীম চাষ করেছিরেন তিনি। কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, ৩ বিঘা জমিতে সীম চাষ করতে বীজ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগে তার দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আগষ্ট থেকে সীম ওঠার কথা ছিল কিন্তু সীমের গাছ বড় হওয়ার পর ফুল ধরলেও সেসব গাছে সীম ধরেনি। এ সময় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন এবং অফিসারদের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন ফল পাননি তিনি। মোটা অংকের টাকা ইনভেস্ট করেও এক টাকারও সীম বিক্রি করতে পারেনি তিনি। অবশেষে এই সীম ক্ষেত নষ্ট করে অন্য ফসল করার চেষ্টা করছেন কৃষক আব্দুর রশিক।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন যে, শুধু সীম নয় যে কোন ফসলের বীজ সংগ্রহ করতে হলে রেজিষ্টার্ড কোন কোম্পানী বা দোকানদারের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। তাছাড়া, এ বছর বৈরি আবহাওয়ার কারণে
আগাম সবজি চাষ ব্যহত হয়েছে। তবে ওই কৃষক যে খরচের কথা বলছেন তত টাকা খরচ হবার কথা নয়।
আপনার মতামত লিখুন :