আইরিন হক বেনাপোল(যশোর): ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পেট্রাপোল বন্দর পরিদর্শনে নিরাপত্তার কারণে রোববার সকাল ৯ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এর আগে একই নিরাপত্তার কথা বলে গত ২৬ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর আমদানি,রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেলের নির্মান কাজ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, য ৫ ঘন্টা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। দুপুর ২ টার পর থেকে যাত্রীরা যাতায়াত শুরু করে।
এদিকে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকায় দুই পার সীমান্তে কয়েকশ পাসপোর্টধারী আটকা পড়ে। এদের মধ্যে জরুরী চিকিৎসা সেবী,ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী ছিলেন। একই ভাবে দুদিন বানিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রাখায় সহস্রধীক ট্রাক পণ্য নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে। এসব পণ্যের মধ্যে মাছ,সবজি,শিশু খাদ্য,শিল্ককলকারখানার কাঁচামাল উল্লেখ্য যোগ্য। গরম আবহাওয়া অন্য দিকে বৃষ্টির মধ্যে এসব পণ্যে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কার পাশাপাশি শিল্পকলকারখানার উৎপাদন মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে।
পাসপোর্টধারী অনিতা ঘোষ জানান, ডাক্তার দেখাতে চেন্নায় যাবেন। বিমানের টিকিট ছিল। হঠাৎ ইমিগ্রেশন বন্ধ করে দেওয়ায় তারা আর বিমান ধরতে পারবেন না। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও চিকিৎসার ক্ষতি হয়েছে। বন্ধের বিষয়টি আগে ঘোষনা দিয়ে এ ক্ষতি হতোনা।
বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, শুক্রবার সরকারি ছুটিতে তিন দিন ধরে এপথে বানিজ্য বন্ধ। এতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দুদিন বানিজ্য বন্ধ ও ৫ ঘন্টা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তবে বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ উদ্দীন জানান, ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে তাদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিরাপত্তা জনিত কারক দেখিযে কার্যক্রম বন্ধ রাখতো অনুরোধ জানিয়েছিল ভারতীয় ইমিগ্রেশন। ৫ ঘন্টা পর আবারও যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক হয়।
আপনার মতামত লিখুন :