শিরোনাম
◈ ‘রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিবাদের প্রডাক্ট হলেও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না’ ◈ বিএনপির সাথে ৩টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি : হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগের ছায়া এখনো ভর করছে ◈ ভারতে গ্রামীণ পরিবারের ৫৭ শতাংশ কৃষি কাজে যুক্ত ◈ ফ্যাসিবাদ মুক্তি আন্দোলনের কোনও একক মাস্টারমাইন্ড নেই: জামায়াত আমির ◈ ট্রাম্প অভিবাসীদের "ময়লার পাত্র " সঙ্গে তুলনা করলেন ◈ কিভাবে শেষ হবে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত? ◈ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ মিছিল-মিটিং করলেই গ্রেফতার: আইজিপি ◈ এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ◈ নবাগত চার ক্রীড়া সংগঠক সহ-সভাপতি হলেন, দুই ফুটবলার পরাজিত 

প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:১৬ দুপুর
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কমলগঞ্জে পোলট্রি খামারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর অবস্থান কর্মসূচী

মো: জমশেদ আলী, কমলগঞ্জ( মৌলভীবাজার) : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাটে ধলাই নদীর তীরে সিপি বাংলাদেশ কোম্পানী লি: এর পোলট্রি খামারের বর্জ্যরে দুর্গন্ধে দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। দুর্গন্ধে টিকতে না পারায় পোলট্রি খামার বন্ধের দাবিতে ছাত্রজনতার অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন। খামারের দুর্গন্ধ ও পরিবেশ দূষণে পোলট্রি খামার বন্ধের দাবিতে শনিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২টায় পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয়
এলাকাবাসী অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে। 

তবে কর্তৃপক্ষ দাবি করছে কিছুটা দুর্গন্ধ থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মস‚চীর সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, হাসিনা সরকারের আমলে ২০১১ সাল থেকে সিপি বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্রয়লার ফার্ম (পোল্ট্রি খামার) স্থাপন করা হয়। ধলাই নদীর তীরে ও ঘনবসতিপূর্ণ
এলাকায় বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৮ একর ভ‚মি নিয়ে বিশাল খামার স্থাপন করা হয়। স্থানীয় জনসাধারণের ঘোর আপত্তি উপেক্ষা করে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের দলীয় বাহিনীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই খামার স্থাপন করা হয়েছে। এতে পরিবেশগত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রহণ না করায় দিবারাত্রি খামারের প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। 

খামারের আশপাশ প্রতাপী, চৈত্রঘাট, জগনশালা, কান্দিগাঁও, জগন্নাথপুর, বড়চেগ, দক্ষিণগ্রাম, ছয়কুট, বিষ্ণুপুর, শ্রীঘর, শ্রীনাথপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই খামার স্থাপনের ফলে এলাকার শিশু, বয়স্ক ও নারীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরণের প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে এবং চরম স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা ছাব্বির আহমেদ, আব্দুল আজিজ, ভূইয়া রাজন রেজা ও এলাকাবাসীর পক্ষে ইউপি সদস্য শামসুল হক, আনহার আহমেদ, কয়েছে আহমেদ, গিয়াস আহমেদ, আতাউর রহমান ও আলী খাসহ স্থানীয়রা জানান, শুরু থেকে এলাকার লোকজন আপত্তি জানালেও তা আমলে নেয়া হয়নি।  উপরন্ত প্রতিবাদকারীদের বিভিন্ন মামলা, হামলা দিয়ে হয়রানিও নির্যাতন করা হয়েছে।  এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। 

অভিযোগ বিষয়ে সিপি বাংলাদেশ লিমিটেড এর স্থানীয় ম্যানেজার ড. কবির হোসাইন বলেন, এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে শুনানি রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, আগামীকাল পরিবেশ অধিদপ্তরসহ দু’পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি শোনানি করে সমাধা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়